বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- মঙ্গলবার বর্ধমানে আইন অমান্য ও জেল ভরো কর্মসূচী করলো সিপিআই(এম)-এর শ্রমিক, কৃষক ও ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন। এদিন কার্যত সকাল থেকেই বর্ধমান শহরের ষ্টেশন থেকে কার্জন গেট পর্যন্ত জায়গায় জায়গায় রাস্তাকে সাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। জায়গায় জায়গায় তৈরী করা হয় ব্যারিকেডও। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। পার্কাস রোড মোড়ের কাছে প্রথম এবং ক্রেসবির সামনে দ্বিতীয় দুর্বল ব্যারিকেড তৈরী করে পুলিশ। তৃতীয় এবং শেষ ব্যারিকেড করা হয় বাদামতলা মোড়ে। সেখানেই বামপন্থী ইউনিয়ন সিটু, এআইকেএস এবং এআইএডব্লিউইউ পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির উদ্যোগে তৈরী করা হয় মঞ্চ। এদিন দুপুর প্রায় ৩টে নাগাদ বামপন্থীদের মিছিল আসতেই প্রথম ব্যারিকেডকে তুলে নেয় পুলিশ। এরপর কয়েকজন ছুটে এসে দ্বিতীয় ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। উল্টোদিকে প্রচুর পুলিশ ওই ব্যারিকেডকে বিপরীত দিক থেকে ঠেলতে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই বামপন্থীদের তুলনায় পুলিশের প্রবল ঠেলায় ভেঙে পড়ে দ্বিতীয় ব্যারিকেড। যদিও এরপর তৃতীয় ব্যারিকেড ভাঙার আর চেষ্টাই করেনি আন্দোলনকারীরা। সেখানেই সভা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, সন্দেশখালি কাণ্ডে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ, সন্দেশখালিতে অত্যাচারের প্রতিবাদ-সহ এদিনের আন্দোলনের দাবীর মধ্যে ছিল শ্রমকোড, বিদ্যুত বিল ও স্মার্ট মিটার বাতিল করা, রেল, ব্যাঙ্ক, বীমা-সহ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ক্ষেত্র বেসরকারীকরণ বন্ধ করা, কৃষকের ফসলের লাভজনক দাম প্রদান, কৃষি ঋণ মুকুব ও ১০০ দিনের কাজে ৬০০ টাকা মজুরী প্রদান ও বকেয়া টাকা দেওয়া, কেন্দ্র ও রাজ্যে সমস্ত শূন্যপদ পূরণ করতে হবে, দুর্নীতি ও মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা প্রভৃতি।