বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- ধৃত দু’জনকে হেফাজতে নিয়েও ৫২টি মোবাইল উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় তদন্তে তেমন সাফল্য মিলল না। তাদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় জিআরপি। যদিও আর কোনও মোবাইল উদ্ধার হয়নি। আর কেউ গ্রেপ্তারও হয়নি। জিআরপির দাবি, ধৃতরা বিভিন্ন তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছে। তবে, জিআরপির তরফে ধৃতদের জামিনের বিরোধিতা করা হয়। ধৃতদের আইনজীবী জামিনের সওয়ালে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর কথা বলেন। তিনি বলেন, ধৃতরা মোবাইল ব্যবসায়ী। তাদের ট্রেড লাইসেন্সও রয়েছে। মোবাইল কেনার নথিপত্রও রয়েছে। সেইসব নথিপত্র আদালতে জমাও দেন তিনি। সরকারি আইনজীবী অবশ্য জামিনের বিরোধিতা করেন। দু’পক্ষের সওয়াল শুনে ডাকা মাত্র হাজিরা ও তদন্তে সহযোগিতার শর্তে ধৃত দু’জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন সিজেএম। জামিনের নির্দেশে বিচারক জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া মোবাইলগুলি চুরির বলে জিআরপি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে। কিন্তু, মোবাইলের কাগজপত্র জমা দিয়েছেন ধৃতদের আইনজীবী।
জিআরপি ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ভোররাতে বর্ধমান রেল স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ওভারব্রিজে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় মহম্মদ আশরাফুল আলম ও মহম্মদ মণিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। মালদহ জেলার কালিয়াচক থানা এলাকায় তাদের বাড়ি। তাদের কাছে থাকা ২টি ব্যাগ থেকে বিভিন্ন কোম্পানির ৫২টি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে বলে জিআরপির দাবি। মোবাইলগুলির কোনও সিমকার্ড ছিল না। সেগুলি চুরির বলে দাবি জিআরপির। সেদিনই আদালতে পেশ করে আরও চোরাই মোবাইল উদ্ধার করতে এবং বাকি জড়িতদের হদিশ পাওয়ার কথা বলে ধৃতদের ৩ দিন হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানায় জিআরপি। ধৃতদের ২ দিন জিআরপি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিজেএম। হেফাজতে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এদিন ধৃতদের ফের আদালতে পেশ করা হয়।