বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- সকাল ৬টায় মূমূর্ষ রোগীর জন্য হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের জন্য আবেদন জমা দিয়েও সকাল সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত সেই রক্ত না মেলায় মৃত্যু হল এক রোগীর। আর সঠিক সময়ে রক্ত চেয়েও রক্ত না পাওয়ার জেরে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো বর্ধমান হাসপাতালে। এই এঘটনায় উপযুক্ত তদন্ত চেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন মৃতের ভাইপো সুবীর হাজরা। মৃতের নাম জয়দেব হাজরা (৬১)। বাড়ি নদীয়া জেলার কালিগঞ্জ থানার মাটিয়ারি এলাকায়। সুবীরবাবু জানিয়েছেন, বুধবার ভোরে রক্তবমি হওয়ায় জয়দেববাবুকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রাধারানী ওয়ার্ডের ৩–৪ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত ডাক্তারবাবু রোগীকে দ্রুত রক্ত দেওয়ার কথা বলেন। সেই মতো রক্তের রিক্যুইজিশন স্লিপ নিয়ে হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে জমা করা হয়। অভিযোগ সকাল ৬ টায় সেই রিক্যুজিশন স্লিপ জমা করা হলেও ১১ টা বেজে গেলেও ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত পাওয়া যায়নি। রক্তের অভাবেই রোগী ১১ টা নাগাদ মারা যায় বলে অভিযোগ পরিবারের। এরপরেই সঠিক সময়ে রক্ত না পেয়ে তাঁদের রোগীর মৃত্যু হয়েছে এই অভিযোগ এনে হাসপাতাল সুপারকে লিখিত অভিযোগ জানান মৃতের ভাইপো সুবীর হাজরা। তিনি জানিয়েছেন, যেভাবে হাসপাতালের ব্ল্যাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ অবহেলা করেছেন তার জেরেই তাঁরা জ্যাঠামশাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। সুবীরবাবু জানিয়েছেন, সঠিক সময়ে রক্ত দিলে এই অঘটন ঘটত না বলে তাঁদের বিশ্বাস। এব্যাপারে তাঁরা দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বর্ধমান হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে জ্যাঠামশাইয়ের প্রয়োজনীয় রক্ত নিতে একজন ডোনারকেও তাঁরা সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁরা রক্ত পাননি। এব্যাপারে হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডা. অমিতাভ সাহা জানিয়েছেন, এই অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত এক শিশুকে অন্য গ্রুপের রক্ত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কাটোয়া হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে হাসপাতাল সুপার জানিয়েছেন।