বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- পঞ্চায়েত ভোটের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার পুরভোটের দামামা বেজে গেল মঙ্গলবার থেকে। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান ও গুসকরা পুরসভার আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হল। এবার আসন সংরক্ষণের কোপে পড়েছেন দুটি পুরসভার চেয়ারম্যানরা। সংরক্ষণের কোপে পড়েছেন দুটি পুরসভার তথাকথিত হেভিওয়েট তৃণমূল নেতারাও।
বর্ধমান পুরসভার মোট আসন সংখ্যা ৩৫। সবগুলিই তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। আসন সংরক্ষণের কোপে পড়েছে বর্ধমান পুরসভার ১৪টি আসন। এর মধ্যে ১২টি আসন মহিলা তপশীলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে। সাধারণ তপশীলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে ৪টি আসন।
গুসকরা পুরসভার মোট আসন ১৬টি। এর মধ্যে সংরক্ষণের আওতায় এসেছে ৯টি আসন। গুসকরা পুরসভায় সংরক্ষণের কোপে পড়েছেন খোদ পুরপতি বুর্ধেন্দু রায়। তিনি এবার আর দাঁড়াতে পারবেন না। অবশ্য অন্য কোনো ওয়ার্ড থেকে তিনি টিকিট পাবেন কিনা সে বিষয় এখনও পরিষ্কার হয়নি। গুসকরা পুরসভার ক্ষেত্রে সবথেকে উল্লেখযোগ্য দুই কাউন্সিলার মল্লিকা চোংদার এবং নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায় এবার নিজের নিজের ওয়ার্ড থেকে আর দাঁড়াতে পারছেন না। দাঁড়াতে পারছেন না গুসকরা পুরসভার বিরোধী দলনেতা মনোজ সাউ। অপরদিকে, মঙ্গলবার প্রকাশিত এই তালিকা অনুসারে এবার অনেক হেভিওয়েট নেতাই আর নিজের নিজের সিটে দাঁড়াতে পারবেন না বর্ধমান পুরসভায়। বর্ধমান পুরসভার ৩৫টি পুর আসনের মধ্যে সংরক্ষণের কোপে পড়েছে ১৪টি ওয়ার্ড। এর ফলে বর্তমান পুরসভার চেয়ারম্যান ডা. স্বরূপ দত্ত, ভাইস চেয়ারম্যান খোন্দেকার মহম্মদ সাহিদুল্লাহ দুজনেই দাঁড়াতে পারছেন না। সংরক্ষণের কোপে পড়েছেন বর্ধমান পুরসভার সবথেকে বেশি দাপুটে নেতা খোকন দাস। বাদ পড়েছেন অরূপ দাস, সেলিম খান, সৈয়দ মহম্মদ সেলিম, অধ্যাপক জয়ন্ত কুমার দত্ত, পরেশ সরকার, আল্পনা হালদার, বিভুতোষ মণ্ডল, রূপালী কৈবর্ত্য, মমতা রায় এবং সুশান্ত প্রামাণিক। তবে এদের মধ্যে অনেকেই আগেরবার যে সমস্ত ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়েছিলেন সেই ওয়ার্ডের পরিবর্তে অন্য ওয়ার্ড থেকে দাঁড়াতে চলেছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন খোকন দাস। তিনি ২৩নং ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়ে জিতেছিলেন। তাঁর বাড়ি ২৩ নং ওয়ার্ডে। এবার ২৪ নং ওয়ার্ড থেকে তিনি দাঁড়াতে পারেন বলে জানা গেছে।