Breaking News

বর্ধমানে ‘রিয়েল বুল’ ফুটবল অনুশীলন কেন্দ্রের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে ব্যারেটো

Former footballer Jose Marcio Ramirez Barreto & Sangram Mukherjee attending the anniversary function of 'Real Bull' Football Training Center in Burdwan

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- লিগে খেলার জন্য খেলোয়াড়দের যে অপেক্ষা করতে হচ্ছে তার মূল কারণ আরও দক্ষতা বাড়াতে হবে খেলোয়াড়দের। নিজেদের ট্যালেণ্টকে আরও বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করে গেলেন প্রাক্তন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার হোসে মার্সিও রামিরেজ ব্যারেটো। রবিবার বর্ধমানের এগ্রিকালচার ফার্মের ফুটবল মাঠে ‘রিয়েল বুল’ ফুটবল অনুশীলন কেন্দ্রের প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে আসেন ব্যারেটো। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মোহনবাগানের সচিব দেবাশীষ দত্ত, প্রাক্তন ফুটবলার সংগ্রাম মুখার্জ্জী, বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান কাকলী গুপ্ত তা, রায়ান ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কার্তিক বাগ প্রমুখরাও। ব্যারেটোর নাম প্রসঙ্গে এদিন মোহনবাগানের সচিব দেবাশীষ দত্ত জানিয়েছেন, ওর নাম ‘মার্সিও’। কিন্তু যখন উনি কলকাতায় এলেন দেখা গেছে কলকাতায় মার্সিও নামে অনেকে খেলে গেছেন। অনেকের এটা গুলিয়ে যাবে। ওর মধ্যে ‘ব্যারেটো’ এমন একটা শব্দ যেটা আগে কোনোদিন কলকাতা ময়দানে উচ্চারিত হয়নি। তখন তিনি তাঁকে ‘ব্যারেটো’ নাম দিলেন। চারটে শব্দ দিয়ে ওর নাম ‘হোসে মার্সিও রামিরেজ ব্যারেটো’। তাতে ‘ব্যারেটো’ শব্দটাও আছে, যেটা ওর বাবার নাম। সেটাই কোলকাতায় এসে ওর আসল নাম হয়ে গেছে। দেবাশীষবাবু বলেন, ইউথ ডেভলপমেন্ট নিয়ে আরো কাজ করা দরকার। আমি মনে করি মোহনবাগানের একটা স্পোর্টস কমপ্লেক্স করা উচিত। যেটা সেন্টার অফ এক্সিলেন্স হবে, মোহনবাগানের নামে। সেটা পশ্চিমবঙ্গের যেকোনও জায়গায় হতে পারে ‘মোহনবাগান ভিলেজ’ নামে। নিজস্ব মাঠ, স্পোর্টস কমপ্লেক্স যদি থাকে সেখান থেকে অনেক খেলোয়াড় শুধু ফুটবল নয় হকি, বাস্কেটবল, টেবিল টেনিস-সহ অন্যান্য খেলারও উন্নতি হবে। এটা তাঁর স্বপ্ন। এখন রাজ্যের অনেক জায়গায় মোহনবাগানের নামে রাস্তা তৈরি হচ্ছে। Former footballer Jose Marcio Ramirez Barreto & Sangram Mukherjee attending the anniversary function of 'Real Bull' Football Training Center in Burdwan উল্লেখ্য, এদিন ব্যারেটোকে সঙ্গে নিয়ে দেবাশীষবাবু বর্ধমানের সাই কমপ্লেক্স যান। সেই প্রসঙ্গে তিনি এদিন জানিয়েছেন, মোহনবাগানের স্বপ্নের বিষয়ে দেখলাম। তবে আমি এটা দেখলাম মানেই চূড়ান্ত নয়। আমাদের অন্যান্যদের সিদ্ধান্তের বিষয় আছে। আবার সাই কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিষয় আছে। এখানে সাই-তো মৃতপ্রায় নয় মৃত। তিনি জানিয়েছেন, এখানে পরিকাঠামো থাকলেও প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। ফলে বিষয়টি নিয়ে আরও ভাবনার দরকার আছে। দুর্গাপুরে মোহনবাগান সেইল একাডেমি বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, যেকোনো জিনিস কনস্ট্রাক্টিভ ওয়েতে করতে হবে। স্পন্সর খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের একাডিমেতে কোনও স্পনসর ছিল না। টাকা তোলা হতো বিভিন্নরকম ভাবে। পরের দিকে সেটা নিয়ে সিবিআই হয়। কোনও জিনিস কনস্ট্রাক্টিভ করা ছাড়া করা উচিত নয়। সেজন্য তিনি একাডেমি থেকে ৩ বছর পর বেরিয়ে গিয়েছিলেন। একাডেমি যেভাবে চলছিল তার সাথে তিনি সহমত ছিলেন না। আমাকে একটা কিছু করতে হবে বলে করলাম, কিন্তু সেটা ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হল না, তাহলে সেকাজ করার মানে হয়না। এদিন বাংলার ফুটবলে গোলরক্ষকদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রাক্তন ফুটবলার তথা গোলরক্ষক সংগ্রাম মুখার্জি বলেন, বাঙালি ফুটবলারদের গোলরক্ষক হিসেবে আধিপত্যের কারণ এখানকার মাঠ, মাটি গোলকিপারদের জন্য উপযুক্ত। সেখান থেকে বর্তমানে যেটা গ্যাপ হচ্ছে সেটা পূরণ করে তাঁরা সবাই মিলে নতুন গোলকিপার তৈরির চেষ্টা করছেন। তিনি আশাকরছেন আগামীদিনে ভালো গোলকিপার উঠে আসবে। উল্লেখ্য, এদিন অনুশীলন কেন্দ্রের ক্ষুদেদের নিয়ে এবং বাংলার মহিলা ফুটবলারদের নিয়ে প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

About admin

Check Also

The fifth short film festival was organized in Burdwan

বর্ধমানে আয়োজিত হলো পঞ্চম শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রবিবার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *