Breaking News

অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির পরামর্শ দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিলো প্রতারকরা

Fraudsters embezzled a retired teacher of lakhs of rupees by suggesting him to build an oxygen plant

জামালপুর (পূর্ব বর্ধমান) :- অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির পরামর্শ দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষকের লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। শিক্ষকের জমিতে প্ল্যান্ট তৈরি হয়নি। তিনি টাকাও ফেরত পাননি। নানা অছিলায় তাঁকে এড়িয়ে চলছে প্রতারকরা। বিষয়টি জামালপুর থানায় জানান অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। থানা অভিযোগ না নেওয়ায় তিনি বর্ধমান সিজেএম আদালতে মামলা করেছেন। সিজেএম কেস রুজু করে তদন্তের জন্য জামালপুর থানার ওসিকে নিের্দশ দিয়েছেন। জামালপুর থানা সূত্রে জানাগেছে, আদালতের নিের্দশ মেনে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আদালতে জামালপুর থানার চৌবেড়িয়ার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শংকর চন্দ্র মল্লিক অভিযোগ করেছেন, কিছুদিন আগে তাঁর সঙ্গে ব্যাংকে পাশের গ্রাম ধাপধাড়ার এক বাসিন্দার পরিচয় হয়। তার সঙ্গে কথাবার্তা চলাকালীন ছেলের বেকারত্বের বিষয়ে জানান তিনি। সেই ব্যক্তি তাঁকে অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির জন্য পরামর্শ দেয়। প্ল্যান্ট থেকে বছরে ১ কোটি টাকা আয় হবে বলে জানায় সে। ব্যবসার জন্য তাঁকে ৩০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে বলে জানানো হয়। পাশাপাশি প্ল্যান্ট তৈরির জন্য জমির প্রয়োজনীয়তার কথা জানানো হয় তাঁকে। অত টাকা তাঁর পক্ষে বিনিয়োগ করা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। এরপর সেই ব্যক্তি প্রাথমিকভাবে ৫ লক্ষ টাকা দিলেই প্ল্যান্ট বসানো যাবে বলে জানায় তাঁকে। বাকি টাকা লোন করে দেওয়ার আশ্বাস দেয় সে। এমনকি সরকারি প্রোজেক্ট হওয়ায় সাবসিডি মিলবে বলে জানানো হয় তাঁকে। কিছুদিন বাদ ওই ব্যক্তি দু’জনকে নিয়ে তাঁর বাড়িতে আসে। তারা দিল্লির একটি সংস্থার আধিকারিক বলে জানানো হয় শিক্ষককে। জমি দেখার পর প্ল্যান্ট তৈরি সম্ভব বলে জানায় তারা। তিনি তাদের চেকে ১ লক্ষ টাকা দেন। পরে পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে ৩৫ হাজার টাকা দেন। কিছুদিন পর তাঁর কাছ থেকে আরও ৫ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। এতে তাঁর সন্দেহ হয়। তিনি সংস্থাটির অফিসে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন, দু’টি চেয়ার-টেবিল ছাড়া কিছুই নেই অফিসে। কাগজপত্র তৈরির জন্য তিনি একজন চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট নিয়োগ করেন। সংস্থার লোকজনের কথাবার্তা শুনে তিনি ও তাঁর চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্টের সন্দেহ হয়। এরপর তাঁরা বর্ধমান শহরের দেওয়ানদিঘি এলাকার একটি প্ল্যান্টে আসেন। প্ল্যান্টের মালিকের সঙ্গে কথা বলে তিনি প্রতারকদের খপ্পড়ে পড়েছেন বলে নিশ্চিত হন। এরপরই তিনি তাদের কাছ থেকে টাকা ফেরত চান। কিন্তু, নানা অছিলায় তারা তাঁকে এড়িয়ে চলতে থাকে।

About admin

Check Also

Doctor Birupaksha Biswas was transferred to Kakdwip a year ago, did not go

এক বছর আগেই কাকদ্বীপে বদলি করা হয় চিকিৎসক বিরূপাক্ষকে, যাননি; ক্যান্টিন মালিক আইনের পথে

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বিতর্কিত চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে এক বছর আগেই স্বাস্থ্য দপ্তর বদলির নির্দেশ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *