বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- পেটের দায় বড় দায়। পেটের দায়ের কাছে রাজনীতি যে তুচ্ছ তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে বর্ধমানবাসীকে দেখিয়ে দিলেন বর্ধমান শহরের কোর্ট কম্পাউন্ডের রাস্তার ধারের হকাররা। বর্ধমানের কোর্ট কম্পাউন্ডে জেলাশাসকের অফিসের প্রাচীর ঘিরে বসে ব্যবসা করা হকাররা রীতিমতো লোকসভার ভোটের মুখে মুখ ফিরিয়ে নিলেন শাসকদলের কাছ থেকে। বৃহস্পতিবার বিকালে এই এলাকার প্রায় ১২০ জন হকার তৃণমূলের ছত্রছায়া ছেড়ে প্রাণ বাঁচাতে তথা রুটি রুজি বাঁচাতে একত্রিত হলেন বামপন্থী সিটুর ছাতার তলায়। এদিন এই হকাররা জানিয়েছেন, সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয় ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে। আর এই উচ্ছেদের নোটিশ মিলতেই তাঁরা প্রথমে জেলা পরিষদের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ উত্তম সেনগুপ্তের কাছে, পরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে এবং তারপরে খোদ বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাসের কাছে হাজির হন। তাঁরাও দেখছি দেখব করে কাটালেও কোনো ইতিবাচক সাড়া হকাররা পাননি। আর তাই বাধ্য হয়েই তাঁরা এদিন সিটুর ছাতার তলায় দাঁড়িয়ে লড়াই সংগ্রাম করার প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আসন্ন লোকসভা ভোটের মুখে একদা তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থাকা এই হকাররা তৃণমূলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে সিটুর ছাতার তলায় চলে যাওয়ায় শুরু হয়েছে ব্যাপক চর্চা। বৃহস্পতিবার সিটু অনুমোদিত পূর্ব বর্ধমান জেলা স্ট্রিট হকার্স ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এই হকারদের সঙ্গে নিয়ে কার্জনগেট চত্বরে বিক্ষোভ সভা করা হয়। পাশাপাশি, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ)-এর কাছে ৩ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে জানান হয়েছে, সরকারি উদ্যোগে বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়া উচ্ছেদ করা চলবে না।
Check Also
বর্ধমানে আয়োজিত হলো পঞ্চম শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রবিবার …