বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- গোটা দেশ রংয়ে রাংয়িয়ে গেলেও বর্ধমান শহর শতবর্ষের রাজ নির্দেশ আজো মেনে চলেছে। রাজা নেই, নেই রাজার হুকুম। কিন্তু প্রায় ১০০ বছরেরও আগে বর্ধমান মহারাজ বিজয়চাঁদ মহতাব যে নির্দেশ আর প্রথা চালু করেছিলেন তা আজো মেনে চলেছে বর্ধমান শহরবাসী। জানা যায়, রাজা বিজয়চাঁদ মহতাবের আমল তখন। আজকের মত এরকম প্রশাসনিক আলাদা আলাদা দপ্তরখানা ছিল না। এক ছাদের তলায় সবই ছিল রাজবাড়িতেই। একে রাজ পরিবার, তাই আবার দোল দুর্গোৎসবের মত রাজকীয় বিষয়। বর্ধমান রাজ পরিবারের কুলদেবতা লক্ষ্মী নারায়ণ জীউয়ের দোল উত্সব তাই রাজমহলের অন্দরেই হত। সেখানে প্রজাদের প্রবেশাধিকার ছিলনা। ফলে একতরফাভাবেই দোলের আনন্দ চলত রাজমহলে। বিষয়টি অনুধাবন করেছিলেন বিজয়চাঁদ। এরপরই তিনি নির্দেশ দেন গোটা রাজ্য জুড়ে যেদিন দোল সেদিন দোল পালিত হবে কেবলমাত্র লক্ষ্মীনারায়ণ জীউয়েরই। পরের দিন রাজপরিবারের সঙ্গে প্রজারাও খেলবেন দোল। আর মহারাজের সেই হুকুম আজও চলছে। তাই সব জায়গায় দোলে যেদিন আনন্দ সেদিন বর্ধমান শহর থাকে কার্যত রংহীন। সময় বদলেছে, বদলেছে নিয়ম। এখন দোল মানেই অশান্তির আঁচ। তাই এখন রীতিমত তৈরী থাকতে হয় পুলিশকে। তৈরী থাকতে হয় পুলিশের র্যাফ, কমব্যাট ফোর্সকেও। এবারেও তার কোনো ব্যতিক্রম ঘটল না। সারাদিনই সতর্ক ছিল বর্ধমান পুলিশ। অন্যদিকে, ভোট আর দোল একাকার হয়ে গেল শুক্রবার বর্ধমানে। একদিকে যখন রাজনৈতিক দলগুলি দোলকে হাতিয়ার করে জনসংযোগের এই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করল না, তেমনি এই দোলকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভোট উতসবে এগিয়ে আহ্বান জানাতে এদিনই এগিয়ে এলেন পুর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। এদিন বর্ধমান শহরের কালেক্টরেট চত্বরে এবছরের ভোটের ম্যাসকট ভোট্টু ‘পেঁচা’কে নিয়ে দোলে মাতলেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
Tags Holi
Check Also
বর্ধমানে আয়োজিত হলো পঞ্চম শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রবিবার …