বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদিকে মহম্মদ বিন-তুঘলকের সঙ্গে তুলনা করলেন কংগ্রেস নেতা সহ কেন্দ্রের প্রাক্তন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। শুক্রবার শহরের বড়নীলপুরে মিলন সংঘ মাঠে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী রণজিৎ মুখোপাধ্যায়ের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে এসে এই মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, মমতা ও মোদি যা করছেন সবই লোক দেখানো। সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। এঁদের সবই ভিতরের ব্যাপার। মানুষ তা বুঝে গিয়েছে। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনডিএ সরকারের আমলে রেলমন্ত্রী ছিলেন। আজ আবার বিজেপির সাথে লড়াই করছে। এ সবই লোকদেখানো। তৃণমূল, বিজেপি একই নাম। একই নদী ও একই গঙ্গোত্রী থেকে বেরিয়ে সাগরে মিশছে। ২০১৯-এ বিজেপি ফিনিশ হবে ও ২০১২ সালে ফিনিশ হবে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যে এবং কেন্দ্রে তাদের ক্ষমতাচ্যুত করবে কংগ্রেস। তিনি আরও বলেন, তৃণমূল এবং পদ্মফুল একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। দু’টি চিত্র একই। কংগ্রেসের প্রতীক হাত। হাতের পাঁচটি আঙুল রয়েছে। এই পাঁচটি আঙুলে পাঁচটি প্রকল্প রয়েছে। প্রকল্পগুলি যথাক্রমে যুবকদের বেকারত্ব ঘোচানো, গরীব মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বছরে ৬ হাজার টাকা জমা করা, সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া, রাজ্যের মানুষকে ভয়ের বাতাবরণ থেকে মুক্ত করা ও কৃষিঋণ মুকুব করা। একমাত্র কংগ্রেস সরকার গড়লেই মানুষ এই সুবিধা পাবে। জাত, ধের্মর বিভেদকে কংগ্রেস বিশ্বাস করেনা। সাম্প্রদায়িক দল নয় কংগ্রেস। সর্ব-ধের্ম বিশ্বাস করে কংগ্রেস। একতাবদ্ধ হয়ে থাকতে চায় কংগ্রেস। আগামা দিনে কেন্দ্রে সরকার গড়বে কংগ্রেস। কারণ দেশের ৩০০টি লোকসভা আসনের রায় মানুষ দিয়ে দিয়েছেন। তাই, নরেন্দ্র মোদিকে একমাসের মধ্যে টাটা-বাই বাই করবেন দেশের মানুষ। মন্ত্রীত্ব গেলে মোদি সন্ন্যাস নেবেন নাকি অন্যকিছু করবেন তা আমার জানা নেই। আমাদের দেশে এর আগে এ ধরণের নাটকবাজ প্রধানমন্ত্রী দেখা যায়নি।
সভায় বক্তব্য রেখে দলের নেতা তথা রাজ্যসভার সংসদ সদস্য প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, মোদি সরকার অসমে এনআরসি চালু করেছে। অসমের বহু মানুষকে এনআরসির কোপে পড়তে হয়েছে। সারা ভারতে মোদি এনআরসি চালু করতে চাইছেন। এ রাজ্যও বাদ যাবেনা। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে এনআরসি করতে দেওয়া হবেনা। আগের সংসদ সদস্য আপনাদের কাছে সমস্যার কথা শুনতে আসেন নি। কিন্তু, আমাদের প্রার্থী জিতলে তিনি নিয়মিত আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। রাজ্যে কংগ্রেসের আমলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পূর্তভবন, সদরঘাট ব্রিজ এসবই কংগ্রেসের আমলে তৈরি। আর এখন মুখে শুধু উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে। কাজ করে দেখাতে হয়। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী রণজিৎ মুখোপাধ্যায়, দলের নেতা শুভঙ্কর সরকার, মালদহের বিধায়ক আলবেরুনি, জলপাইগুড়ির বিধায়ক সুখবিলাস ভার্মা, দলের জেলা সভাপতি আভাষ ভট্টাচার্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।