বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- কৃষক স্বার্থে ৭ দফা দাবিতে জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন দিলো ‘কৃষি ও কৃষক বাঁচাও কমিটি’। অকাল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ, কৃষি ঋণ ও বিদ্যুৎ বিল মকুব এবং আলু বিজের কালোবাজারি রোখার দাবিতে মঙ্গলবার সংগঠনের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির উদ্যোগে এই বিক্ষোভ ডেপুটেশন কর্মসূচি করা হয়। জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পাশাপাশি কার্জনগেট চত্বরে প্রতিবাদ কর্মসূচি করা হয়। উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও কৃষক বাঁচাও কমিটির জেলা সম্পাদক অনিরুদ্ধ কুন্ডু, সামসুল আহম্মদ, কায়েম মল্লিক প্রমুখ। অনিরুদ্ধ কুন্ডু জানিয়েছেন, সম্প্রতি অকাল বর্ষণে পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন অংশে ফসলের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় লক্ষাধিক হেক্টর জমি। এই বর্ষণের ফলে জমির ধান, আলু, সবজি, সরষে সব জলের তলায় চলে গেছে। ফলে কৃষকরা আজ দিশাহারা। কৃষকেরা যে ঋণ নিয়ে চাষের খরচ জোগাড় করেছিলেন, ফসলের ক্ষতিতে তাঁরা আজ সর্বস্বান্ত। ঋণে জর্জরিত কৃষক আজ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। ইতোমধ্যেই পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী ১ ব্লকের এক আলু চাষি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন অনিরুদ্ধ কুন্ডু। তিনি জানান, আগামী দিনে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। এমনিতেই এ বছর আমন ধানে শোষক পোকার আক্রমণে বহু ধান নষ্ট হয়ে গেছে। আবার অনেকেই ধান কেটেও জমি থেকে ধান তুলতে পারেনি, ফলে সেই ধান নষ্ট হয়ে গেছে। সদ্য বসানো আলুর চারা বৃষ্টির জলে ডুবে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সুযোগে আলু বীজ নিয়ে চলছে কালোবাজারি। অনেক বেশি দরে বাজারে আলু বীজ বিক্রি হচ্ছে। ফলে সমস্ত দিক থেকে চাষিদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। অনিরুদ্ধ কুন্ডু জানিয়েছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারের কাছে তাঁদের আবেদন কৃষকদের বাঁচাতে অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হোক এবং ঋণগ্রস্ত কৃষককে আত্মহত্যা করার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কৃষিঋণ মকুব করার কথা ঘোষণা করা হোক। এছাড়াও পূর্বস্থলীতে আত্মঘাতী কৃষক পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।