E Purba Bardhaman

ভাতারের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Mamata Banerjee challenged the Prime Minister from Bhatar's meeting

ভাতার (পূর্ব বর্ধমান) :- মঙ্গলবার বর্ধমান-দুর্গাপুর এবং বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী কীর্তি আজাদ ও শর্মিলা সরকারের সমর্থনে এরুয়ার হাইস্কুল (এরুয়ার ভুবন মোহন দত্ত পাবলিক ইনস্টিটিউশন) মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমতো তুলোধোনা করলেন বিজেপিকে। এদিন দুপুরে এরুয়ার হাইস্কুল মাঠে প্রখর তাপকে উপেক্ষা করে আসা ভিড়ে ঠাসা জনতার সামনে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মমতা। প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে মমতা বলেন, কত টাকা দিয়েছেন বলুন। রেশনখাতে রাজ্য ৩০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। ‘প্রচারবাবু’ আপনি কত দিয়েছেন বলবেন? ১০০ দিনের ও আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছেন প্রচারবাবু। আবাস যোজনার টাকা রাজ্য দেবে। আপনাকে দিতে হবে প্রচারবাবু। প্রচারবাবু কোথায় গেল আপনার ২ কোটি চাকরি? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, চাকরি তো দেন না উল্টে চাকরি খেয়ে নিচ্ছেন। আজ যদি কোনো ছেলে আত্মহত্যা করে তার দায়ভার কি আপনারা নেবেন? মমতা বলেন, স্কুলে বাচ্চারা শিক্ষক কোথায় পাবে? বিজেপির নেতারা কি পড়াবেন? মমতা এদিন নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে বলেন প্রধানমন্ত্রী নয় “প্রচারবাবু”। তিনি বলেন, বিজেপির দুটো চোখ বাংলায়। একটা বাম আর একটা কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, রাজ্যে রেশনের পুরো টাকাই আমরা দিই। মিথ্যা বলছেন প্রচারবাবু। শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সব থেকে বড় কুকর্ম যে করেছে সে বড় গদ্দার। লক্ষ্মী ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবে বলছে বিজেপি। সাহস থাকলে লক্ষ্মী ভান্ডারে হাত দিয়ে দেখা। গণতন্ত্রকে কারাগারে বন্ধ করে দিয়েছে প্রচারবাবু। “এফআইআর গুন্ডা” বলে নাম না করে শুভেন্দুকে এদিন কটাক্ষ করেন মমতা। অন্যদিকে, এদিন তীব্র দাবদাহের জেরে সভায় আসা এক মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যান পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মীরা। এদিনের এই সভায় ভাতারের প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরাকে দেখতে না পেয়ে তাঁর বিষয়ে খোঁজ খবরও নেন মমতা। ভাতারের এই সভায় তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য শোনার জন্য সকাল ১১ টা থেকে সভাস্থলে মানুষ অপেক্ষায় ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী আসেন প্রায় ৩ টে ৩৮ মিনিট নাগাদ। অন্যান্যদের মধ্যে এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী কীর্তি আজাদ, বর্ধমান পূর্বের প্রার্থী ডা. শর্মিলা সরকার, রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি, প্রদীপ মজুমদার, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক খোকন দাস, নিশীথ মালিক, মানগোবিন্দ অধিকারী, অপূর্ব চৌধুরি, সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, সহকারী সভাধিপতি গার্গি নাহা, কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু কোনার, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি রাসবিহারী হালদার, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি স্বরাজ ঘোষ, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি শিখা দত্ত সেনগুপ্ত, পূর্ব বর্ধমান জেলা আই এন টি টি ইউ সি-র সভাপতি প্রমুখরাও।

Exit mobile version