বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- ভাইপো-সহ নিজের আত্মীয়দের বাঁচাতেই শাহের সঙ্গে গোপন বৈঠক হয়েছে। কেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শাহের বৈঠকের বিষয় প্রেস রিলিজ আকারে প্রকাশ করা হল না প্রশ্ন তুলে গেলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলা সিপিএমের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে আসেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী জেলায় জেলায় গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। সেই বৈঠক লাইভ টেলিকাষ্ট হয়। এমনকি তিনি যেখানে যেখানে যান, সেখানকার খবরও প্রকাশিত হয়। তাহলে শাহের সঙ্গে বৈঠকের বিষয় কেন খবর হল না? তাহলে কি ভাইপো আর নিজের আত্মীয়দের বাঁচাতেই গোপন সমঝোতা হল? সেলিম সাহেব এদিন বলেন, আগামী ২ মাস ধরে তাঁরা চোরদের বাড়ি বাদে প্রত্যেকের বাড়ি যাবার কর্মসূচী নিয়েছেন গ্রাম বাঁচাও চোর তাড়াও-এর ডাক দিয়ে। প্রত্যেক মানুষের কাছে তাঁরা যাবেন, তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনবেন। তিনি জানিয়েছেন, নভেম্বর মাস জুড়ে গ্রামে গ্রামে পদযাত্রা করা হয়েছে। সন্ত্রাস কবলিত এলাকাতেও পদযাত্রা করা হয়। দু-এক জায়গায় আক্রমণ হলেও গত আগষ্ট মাসের পর থেকে গোটা রাজ্য জুড়েই তৃণমূলের সন্ত্রাসের প্রকোপ কমেছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন সেলিম। তিনি জানিয়েছেন, মহাভারতের মত রাজ্যকে বাজি ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মানুষের অভাব, অভিযোগ সমস্যার থেকে কিভাবে নিজেকে বাঁচাবেন সেজন্য চেষ্টা করছেন। রাজ্যকে ভাগ করার চেষ্টা করছেন। এদিন সেলিম জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই কলকাতায় গঙ্গা পরিষদের বৈঠক হবে। সেই বৈঠকের দিন গোটা রাজ্য জুড়েই বামেরা প্রতিবাদ জানাবেন। কারণ নদী ভাঙন রোধে ২২ হাজার কোটি টাকার কোনো হিসাব দিতে পারেনি কেন্দ্র সরকার। এমনকি কেন্দ্র ও রাজ্য কেউই নদী ভাঙন রোধে কাজ করছে না। বর্ধমানে দামোদর থেকে বেপরোয়া বালি উত্তোলন নিয়েও এদিন সরব হন মহম্মদ সেলিম। তিনি জানিয়েছেন, যেভাবে বালি খাদান থেকে বালি তোলা হচ্ছে তাতে যে কোনো মূহূর্তে বিপর্যয় নেমে আসবে। ফের করোনা সংক্রমণ বাড়ছে বলে গোটা দেশ জুড়েই যে হৈ চৈ শুরু হয়েছে তাকে সম্পূর্ণ নাটক বলে অভিহিত করেছেন মহম্মদ সেলিম। তিনি জানিয়েছেন, করোনার সময় পিএম কেয়ারের টাকার হিসাব দিক মোদি সরকার। তিনি অভিযোগ করেছেন, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে আটকাতেই এখন করোনাকে সামনে আনা হচ্ছে। এরপরই তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব নয়, তাঁরা চান সামাজিক নৈকট্যকে আরও বাড়াতে হবে। লালন সেখের মৃত্যুর ঘটনায় ডিআইজিকে দায়িত্ব দেওয়া সম্পর্কে তিনি মন্তব্য করেন, ডিআইজি হিসাবেই কাজ করুন, ডিওজি হিসাবে যেন কাজ না করেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ, রাস্তায় গাছ ফেলে ক্ষোভ প্রকাশ করার ঘটনা সম্পর্কে সেলিম জানিয়েছেন, এরপর তো গাছে বেঁধে বিক্ষোভ হবে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয় নিয়ে তিনি এদিন দাবী করেছেন, কেন্দ্র সরকার প্রত্যেক প্রকল্পের বিষয়ে তদন্ত করুক। কিন্তু দুঃখের বিষয় কেন্দ্র সরকার কোনো প্রকল্পের বিষয়েই তদন্ত করে না। সংখ্যালঘুদের জন্য টেকনিক্যাল কলেজ সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, কোথাও কোনো টেকনিক্যাল কলেজ হয়নি। টাকা লুঠ হয়েছে। তৃণমূলের নেতা ও আত্মীয়রা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তৈরী করে তা লুঠ করেছে। শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা বন্ধ এবং বিকল্প পৌষমেলা সম্পর্কে এদিন মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, বিশ্বভারতীর ভাইস চ্যান্সেলর একজন অপদার্থ লোক। তিনি বলেন, তিনি বলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে বন্ধ করে সেখানে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা চলছে।
Tags Amit Shah CPI(M) CPI(M) leader CPM mamata banerjee Md Salim Mohammad Salim
Check Also
বর্ধমানে আয়োজিত হলো পঞ্চম শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রবিবার …