বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- আবাস যোজনা নিয়ে সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের অর্থানুকূল্যে যে সার্ভের কাজ হচ্ছে সেখানে কোনোরকম অস্বচ্ছতা যেন না থাকে। কোনো রকম অভিযোগ যেন না ওঠে। পূর্ব বর্ধমান জেলার সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক করে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। মঙ্গলবার বর্ধমান সংস্কৃতি লোকমঞ্চে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনীতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বপন দেবনাথ বলেন, আমরা নেতারা বাইরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জনগণকে সম্প্রীতি বজায় রাখার ডাক দিই। কিন্তু এই বিজয়া সম্মিলনী থেকে তিনি ডাক দিচ্ছেন দলের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখুন, যাতে কেউ অসম্মানিত না হন। এদিন কিছুটা আত্মসমালোচনার সুরেই স্বপনবাবু বলেন, এবারের পুজোয় কেবলমাত্র পূর্ব বর্ধমান জেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩৩ কোটি ৪৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দিয়েছেন। কিন্তু অনেকেই সৌজন্য দেখিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি টাঙায়নি। আমরা তাদের বোঝাতে পারিনি। প্রসঙ্গত তিনি এদিন বলেন, দানার প্রভাবে পূর্ব বর্ধমান জেলায় তেমন ক্ষতি না হলেও এর থেকে শিক্ষা নিতে হবে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মা দুর্গার মতই সারারাত জেগে আগলে রাখলেন। কিন্তু আমরা কে রাত জেগেছি? এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে আর জি কর নিয়ে যারা রাত জাগরণ করেছেন তা নিয়েও এদিন সমালোচনা করেন স্বপনবাবু। তিনি বলেন, আর জি কর কাণ্ড নিয়ে তৃণমূলই প্রথম দোষীদের ফাঁসির দাবি করেছে, শাস্তির দাবিতে রাস্তায় নেমেছে। কিন্তু এই আন্দোলনে আরও দলীয় নেতা-কর্মীদের থাকা উচিত ছিল। পরে সাংবাদিকদেরও তিনি বলেন, দলের কোনো খামতি নেই। দল যেভাবে নির্দেশ দিয়েছে তা পালন করা হয়েছে। কিন্তু এই প্রতিবাদ আন্দোলনে আরও দলীয় কর্মী, নেতৃত্ব থাকা উচিত ছিল। উল্লেখ্য, এদিন এই বিজয়া সম্মিলনীতে সিংহভাগ বক্তাই আরজি কর কাণ্ড নিয়ে বিরোধীদের অপপ্রচারকে তুলে ধরে তার প্রতিরোধে এবং প্রতিবাদে পথে নামার ডাক দেন। এই প্রথম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি দেবু টুডু স্বরচিত কবিতার মাধ্যমে আর জি কর কাণ্ডে বিরোধীদের অপপ্রচার নিয়ে সরব হন। কবিতার মাধ্যমে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যব্যবস্থার রন্ধ্রে রন্ধ্রে শোষক পোকার দল ঢুকে পড়েছে। চক্রান্তের জাল বুনে বেসরকারি নার্সিংহোমে রোগী ভর্তি করছে। আর আন্দোলনের নামে ব্ল্যাকমেল করছে। তিনি এদিন বলেন, অতি লাল আর মার্কসবাদীদের এই পাতা ফাঁদ আমরা গোটাবই। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বাগবুল ইসলাম এদিন বলেন, একটা বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানেও আরজিকর নিয়ে বলতে হচ্ছে। কারণ বিরোধীরা এটাকে নিয়েই বাংলার আকাশ ঢাকতে চাইছে। এদিন এই সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলার কয়েকজন বিধায়ক, দুই সাংসদ-সহ সমস্ত শাখা সংগঠনের নেতৃত্বরাও।
Check Also
বর্ধমানে আয়োজিত হলো পঞ্চম শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রবিবার …