গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- দিল্লির এক যুবতীকে গণ ধর্ষণের অভিযোগে জামালপুরের তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতদের নাম হারাধন কিস্কু, কালীরাম সরেন ও সমীর পাত্র। জামালপুর থানার চৌবেড়িয়ায় তাদের বাড়ি। শনিবার রাতে পুলিস তাদের গ্রেপ্তার করে। জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যুবতীর মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছে। যুবতীর পরনের পোশাক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। রবিবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠানোর নিের্দশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম। ধৃতদের মেডিকেল পরীক্ষা করানোর জন্য আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক স্টেট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধানকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নিের্দশ দিয়েছেন বিচারক। যুবতীর গোপন জবানবন্দি নথিভূক্ত করানোর জন্য চতুর্থ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নিের্দশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম। যুবতীকে সরকারি হোমে রাখার জন্য নিের্দশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পঁচিশের ওই যুবতীর বাড়ি দিল্লির ডি-ব্লক থানার জে.জে. নগরে। তবে, কিভাবে তিনি জামালপুরে এলেন সে বিষয়ে পুলিসকে কিছু জানাতে পারেন নি হিন্দিভাষী ওই যুবতী। শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ মশাগ্রাম স্টেশন থেকে হেঁটে তিনি জামালপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। মাঝ রাস্তায় তাঁকে দেখতে পায় হারাধন ও কালীরাম। তারা চৌবেড়িয়ায় পুলের কাছে সমীরের চায়ের দোকানে যুবতীকে নিয়ে যায়। সেখানে তারা চা খায়। তারপর চায়ের দোকানের পিছনে নিয়ে গিয়ে সমীর, হারাধন ও কালীরাম যুবতীকে ধর্ষণ করে। সমীর অবশ্য তারপর পালিয়ে যায়। রাত ১টা নাগাদ কয়েকজন পূণ্যার্থী দক্ষিণ সারাংপুরে কালীপুজোর মেলা দেখে ফিরছিলেন। মাঠ থেকে যুবতীর বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনে তাঁরা সেখানে যান। হাতেনাতে তাঁরা হারাধন ও কালীরামকে ধরে ফেলেন। যুবতীকে উদ্ধার করেন পূণ্যার্থীরা। কালীরাম ও হারাধনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ধর্ষণে সমীরের জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে পারেন তাঁরা। ধর্ষণের সময় জড়িতরা মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিস। ঘটনার বিষয়ে চৌবেড়িয়ার বাসিন্দা পার্থ দাস শনিবার জামালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে গণধর্ষণের মামলা রুজু করেছে পুলিস।