গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- ধর্ষণে বাধা পেয়ে স্কুল ছাত্রীর মাথায় নোড়া দিয়ে আঘাত করা এবং ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান থানার পুলিস। ধৃতের নাম সোনু ত্যাগী। বর্ধমান থানার সাধনপুরের আলুডাঙায় তার বাড়ি। স্থানীয় এক বাসিন্দা ধরে তাকে পুলিসের হাতে তুলে দেয়। রক্তমাখা নোড়াটি পুলিস বাজেয়াপ্ত করেছে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে বর্ধমানের পকসো আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতকে ১২ জুন পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নিের্দশ দেন পকসো আদালতের বিচারক সুযশা মুখোপাধ্যাপায়।
ধর্ষণে বাধা পেয়ে স্কুল ছাত্রীর মাথায় নোড়া দিয়ে আঘাত করার অভিযোগে ধৃত এক ব্যক্তি
পুলিস জানিয়েছে, শহরের বাজেপ্রতাপপুর মালিরবাগান এলাকায় বছর চোদ্দোর ওই ছাত্রীর বাড়ি। সে শহরের একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। তার মা পরিচারিকার কাজ করেন। বাবা পৃথক থাকেন। এদিন সকালে ওই ছাত্রীর মা কাজে বেরিয়েছিলেন। বাড়িতে একাই ছিল ওই ছাত্রী। সকাল ৬টা নাগাদ সোনু ঘরে ঢুকে ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ওই ছাত্রী প্রাণপণে তাকে বাধা দেয়। বাধা পেয়ে ছাত্রীর মাথায় নোড়া দিয়ে আঘাত করে সোনু। তাতে ছাত্রীর মাথা ফেটে যায়। সে রক্তাক্ত জখম হয়। তাতেও সে সোনুকে ধরে রেখে চিৎকার শুরু করে। নিজেকে মুক্ত করতে সোনু ধারাল অস্ত্র দিয়ে ছাত্রীকে কোপায়। জখম হয়ে সোনুকে ছেড়ে দেয় ওই ছাত্রী। তবে, সে চিৎকার থামায় নি। সেই সময় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন মালিরবাগানের বাসিন্দা শেখ নাসিম। তিনি সোনুকে রক্তমাখা অবস্থায় পালাতে দেখেন। তাড়া করে তিনি সোনুকে ধরে ফেলেন। আশপাশের লোকজনও জড়ো হয়ে যায়। তাঁরা ধরে সোনুকে পুলিসের হাতে তুলে দেন। পরে ঘটনার কথা জানিয়ে নাসিম বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, সোনুকে ওই অবস্থায় দেখে সন্দেহ হয়। তাই, ওকে জাপটে ধরে রাখি। আশপাশের লোকজন এলে তাদের হাতে সোনুকে তুলে দিই। ঘরের ভিতরে গিয়ে দেখি, রক্তাক্ত হয়ে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে গোঙাচ্ছে ওই ছাত্রী।