গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে দু’টি পৃথক মামলা রুজু করেছে পুলিস। তার মধ্যে স্বতঃপ্রণোদিত একটি মামলা রুজু করেছে পুলিস। অপরটি তৃণমূল আইএনটিটিইউসি অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার বিষয়ে। অভিযোগে অবশ্য কোনও জুনিয়র ডাক্তারের নাম নেই। বর্ধমান থানার এক অফিসার বলেন, দু’টি মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিস জানিয়েছে, এনআরএস কাণ্ডের জেরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি পালন করছিলেন। গত ১১ জুন রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ডেপুটি সুপার হাসপাতাল ছাড়েন। তারপরই জুনিয়র ডাক্তাররা জরুরি বিভাগের সামনের ছাড়া বাকি সব গেট বন্ধ করে দেন। সেই সময় কীটনাশক খাওয়া এক রোগীকে কয়েকজন নিয়ে হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢোকার গেটটি বন্ধ ছিল। রোগীর পরিজনরা জুনিয়র ডাক্তারদের গেট খুলে চিকিৎসা করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু, জুনিয়র ডাক্তাররা সেই অনুরোধ ফিরিয়ে দেন। এনিয়ে রোগীর পরিজনদের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বচসা শুরু হয়। সেই সময় জুনিয়র ডাক্তাররা লাঠি, বাঁশ, লোহার রড প্রভৃতি নিয়ে রোগীর পরিজনদের মারধর করেন। জরুরি বিভাগের সামনের শেডে আশ্রয় নেওয়া রোগীর পরিজনদেরও মারধর করে হাসপাতাল থেকে বের করে দেন। খবর পেয়ে হাসপাতাল ক্যাম্পের পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে জুনিয়র ডাক্তারদের বোঝানোর চেষ্টা করে। তাতে কর্ণপাত না করে পুলিসের উপর হামলা চালায় জুনিয়র ডাক্তাররা। হাসপাতালের পুলিস ক্যাম্পে ভাঙচুর করা হয়। ক্যাম্পের ইনচার্জ আব্দুল নাসির খানকে মারধর করা হয়। জুনিয়র ডাক্তাররা পুলিসকে মেরে ফেলার হুঁশিয়ারি দেন। ভয়ে ক্যাম্পের পুলিসকর্মীরা হাসপাতাল ছেড়ে পালান। মারধরে আরও ২ পুলিসকর্মী জখম হন। তাঁদের শহরের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁদের শহরের বামবটতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করে সাব-ইনসপেক্টর শিউ কুমার সিং বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে বেআইনি জমায়েত, কর্তব্যরত অবস্থায় সরকারি কর্মচারীকে কাজে বাধা দেওয়া, মারধর, ভাঙচুর, গালিগালাজ করা ও খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
অন্যদিকে, শহরের মিঠাপুকুরের বাসিন্দা শেখ কালাম অভিযোগ করেছেন, ১২ জুন সকাল ১০টা নাগাদ তিনি ও কয়েকজন হাসপাতাল লাগোয়া আইএনটিটিইউসি অফিসে বসেছিলেন। সেই সময় কিছু জুনিয়র ডাক্তার পার্টি অফিসের ভিতরে ঢুকে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ছিঁড়ে দেন। অফিসে ভাঙচুর চালান। আলমারির ভিতরে থাকা ১৮ হাজার টাকা নিয়ে নেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দলনেত্রীর বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। দলের পতাকা ছিঁড়ে দেন। এমনকি কয়েকজনকে মারধর পর্যন্ত করেন। উল্লেখ্য, ১২ জুন সকালে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় চিত্র সাংবাদিক মুকুলেসুর রহমান ছবি তুলতে গেলে তাঁকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। তিনিও পৃথক একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বর্ধমান থানায়। যদিও তাঁর এই অভিযোগে পুলিশ এখনও কোনো মামলা শুরু করেনি বলে জানিয়েছেন মুকুলেসুর।
অন্যদিকে, শহরের মিঠাপুকুরের বাসিন্দা শেখ কালাম অভিযোগ করেছেন, ১২ জুন সকাল ১০টা নাগাদ তিনি ও কয়েকজন হাসপাতাল লাগোয়া আইএনটিটিইউসি অফিসে বসেছিলেন। সেই সময় কিছু জুনিয়র ডাক্তার পার্টি অফিসের ভিতরে ঢুকে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ছিঁড়ে দেন। অফিসে ভাঙচুর চালান। আলমারির ভিতরে থাকা ১৮ হাজার টাকা নিয়ে নেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দলনেত্রীর বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। দলের পতাকা ছিঁড়ে দেন। এমনকি কয়েকজনকে মারধর পর্যন্ত করেন। উল্লেখ্য, ১২ জুন সকালে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় চিত্র সাংবাদিক মুকুলেসুর রহমান ছবি তুলতে গেলে তাঁকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। তিনিও পৃথক একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বর্ধমান থানায়। যদিও তাঁর এই অভিযোগে পুলিশ এখনও কোনো মামলা শুরু করেনি বলে জানিয়েছেন মুকুলেসুর।