বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- একদিকে কাটমানি, অন্যদিকে মহিলাদের নিয়ে রীতিমত চারিত্রিক প্রশ্ন তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক এবং বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার খোকন দাসের বিরুদ্ধে পোষ্টার দেওয়াকে ঘিরে গোটা শহর জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো। যদিও এব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাননি খোকন দাস। জানা গেছে, সোমবার সকালেই বর্ধমান পুরসভা ভবন এলাকায় দুটি পোষ্টার দেওয়া হয়। একটি পোষ্টারে লেখা হয় বর্ধমান পৌরসভা থেকে যে টাকা কাটমানি নেওয়া হয়েছে তা ফেরত দিতে হবে। কাটমানির এই পোষ্টারেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে সামান্য কয়লার গুঁড়ি বিক্রেতা থেকে সাত বছরে ১০০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক কিভাবে হয়েছে? বর্ধমান পুরসভায় ১৭জনকে নিয়োগের ক্ষেত্রেও কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই নিয়োগ বাতিলের দাবী জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বর্ধমান পুরসভার ২৩ ও ২৪ নং ওয়ার্ডেই কেন সব উন্নয়ন হচ্ছে? এই পোষ্টারেই অবিলম্বে তাঁর সম্পত্তি বেচে পৌরসভাকে বাঁচানোর দাবী জানানো হয়েছে। এই কাটমানি সংক্রান্ত পোষ্টার দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের নামে। লেখা হয়েছে জয়হিন্দ, জয় বাংলার শ্লোগানও। যদিও গোটা ঘটনার পিছনেই বিজেপিকেই দায়ী করছেন তৃণমূলের নেতারা। এদিকে, এই কাটমানির পোষ্টারের পাশাপাশি আরও একটি ব্যক্তিগত চারিত্রিক বিষয়ে প্রশ্ন তুলে সেখানে এক মহিলার ছবি দিয়ে পোষ্টার দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই দুই পোষ্টারকে ঘিরে শহর জুড়েই ব্যাপক চাঞ্চল্য এবং আলোচনা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, খোকন দাস বর্ধমান পুরসভার অত্যন্ত প্রভাবশালী প্রাক্তন কাউন্সিলার হিসাবেই পরিচিত। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর নামে এই পোষ্টার দেওয়ার দুঃসাহস দেখানোয় শহর জুড়েই পক্ষ বিপক্ষ আলোচনা তুঙ্গে উঠেছে। অন্যদিকে, সোমবার সকালে এই পোষ্টার দেখার পরই তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরা তা দ্রুত ছিঁড়ে ফেলে দেন। যদিও পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন তৃণমূল নেতার মাধ্যমে দ্রুত এই পোষ্টারের ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। অপরদিকে, এই ঘটনার পরই খোকন দাস তাঁর ঘনিষ্ট মহলের মাধ্যমে এদিন বিকালেই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে গোটা বিষয়টি নিয়ে তাঁর জবাব দিতে চেয়েছিলেন। সেই বৈঠকে তাঁর স্ত্রীরও থাকার কথা ছিল। এমনকি এদিন সন্ধ্যাতেই এই ঘটনায় দোষীদের (যাঁরা পোষ্টার দিয়েছে) গ্রেপ্তারের দাবীতে বর্ধমান সদর থানা ঘেরাও করারও ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরেই তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত বদলে নেন। তাঁর ঘনিষ্ট মহল থেকে সাংবাদিক বৈঠক বাতিল করার কথা জানানো হয়। এব্যাপারে খোকন দাসকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানিয়েছেন, কে কি পোষ্টার দিল তা নিয়ে তাঁর কিছু বলার নেই। এগুলোকে তিনি কোনো পাত্তাই দিচ্ছেন না। অপরদিকে, এব্যাপারে বিজেপির পক্ষ থেকেও কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। অনেকেই এর পিছনে তৃণমূলেরই একাংশ দায়ী বলে মনে করছেন।
Tags Burdwan Burdwan Municipality Burdwan Municipality Councillor Councillor Councillor of Burdwan Municipality cut money Municipality Municipality Councillor tmc
Check Also
বর্ধমান টাউন হলে শুরু হলো লিটল ম্যাগাজিন মেলা, চলবে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- শুক্রবার থেকে শুরু হলো ‘বর্ধমান লিটল ম্যাগাজিন মেলা ২০২৪’। বর্ধমান টাউন …