বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- শনিবার সকালে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে নিজের বাড়ি ফিরে গেলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া। শনিবার সকাল ৮টা নাগাদ তিনি বর্ধমান হাসপাতাল থেকে ছুটি পান। এরপর সরাসরি তিনি বাড়ি যান। এদিন সকাল থেকেই তিনি বাড়িতেই বিশ্রামের জন্য রয়েছেন। অন্যদিকে, তাঁর শারীরিক অসুস্থতাকে ঘিরে যে খবর রটেছে তা নিয়ে এদিনই শম্পা ধাড়া পাল্টা মুখ খুলেছেন। আদপেই তিনি কোনোরকম আত্মহত্যার চেষ্টা করতে যাননি বলে এদিন সাফ জানিয়েছেন। বলেছেন, তাঁর অসুস্থতা নিয়ে সম্পূর্ণ মি্থ্যা রটানো হয়েছে। শম্পা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং ছিল জেলা পরিষদে। গরমের মধ্যেও তিনি এই পরপর মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন মাত্র এক কাপ চা খেয়েই। ফলে তাঁর মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়। শম্পা জানিয়েছেন, অনেকদিন ধরেই তিনি মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন। বর্ধমানের অনাময়ে নিউরোর ডাক্তারও দেখাচ্ছেন। কিন্তু প্রায় ৬ মাস তিনি কোনো ওষুধ খাননি। কিন্তু সমস্যা বাড়ায় গত প্রায় দিন ছয়েক ধরে তিনি আবার ওষুধ খাওয়া শুরু করেন। শম্পা ধাড়া জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার মিটিংয়ে থাকাকালীন ওই যন্ত্রণা শুরু হবার পর তিনি রাত্রে বাড়ি আসার পর তা আরও বাড়ে। যন্ত্রণা উত্তরোতর বাড়তে থাকায় গভীর রাতে বাড়িতে রাখা বিশেষ একটি ব্যথা নিরোধক ওষুধ খান। যা খাওয়া তাঁর নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু হাতের কাছে অন্য ওষুধ না পাওয়ায় তিনি ওই ওষুধটিই খান। শুক্রবার সকালেই তাঁর বুকে ব্যথা শুরু হয়। এই সময় তাঁর মাসি স্কুলে চলে যান। তিনি বাড়িতেই বিশ্রাম করতে থাকেন। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ জেলা পরিষদের গাড়ি তাঁকে আনতে যায়। শম্পা জানিয়েছেন, তিনি বিশ্রাম নেবার কথা বলে গাড়ি ফিরিয়ে দিতে চান। কিন্তু তাঁর দেহরক্ষী তাঁর শরীর খারাপের কথা শুনে তাঁকে অনাময়ে নিয়ে যান। তিনি জানিয়েছেন, এই সময় তিনি মোটেও অচৈতন্য ছিলেন না। নিজের পোশাক নিজেই পরিবর্তন করে হেঁটে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে তিনি গাড়িতে ওঠেন। শম্পার দাবী, তাঁকে অনাময়ে চিকিত্সা করাকালীন তিনি চিকিত্সকদেরও জানিয়েছিলেন তাঁর বিশ্রামের প্রয়োজন। বিশ্রাম নিলেই তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন। যদিও এরপর তাঁকে অনাময় থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শম্পা জানিয়েছেন, হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তাঁর পরামর্শেই তিনি শুক্রবার রাত্রে হাসপাতালে থাকেন। শনিবার সকালে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। এরপরই শম্পা জানিয়েছেন, মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাওয়ার তত্ত্ব সবটাই মিথ্যা, বানানো এবং তাঁকে অপদস্থ করার প্রয়াস। তিনি পাল্টা তোপ দেগে জানিয়েছেন, কেউ কেউ তাঁর বিরুদ্ধে কুত্সা রটানোর চেষ্টা করছে। টেণ্ডার নিয়ে যে অভিযোগ তাও ভিত্তিহীন বলে তিনি জানিয়েছেন। শম্পা জানিয়েছেন, যাঁরা তাঁর বিরুদ্ধাচারণ করছেন খুব শীঘ্রই তাঁদের বিষয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে বিস্তারিত জানাতে চলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কাটমানি নিয়ে কোনো অভিযোগই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠেনি। তাঁর বাড়ি ঘেরাও বা তাঁকেও কেউ কিছুই বলেননি। টেণ্ডার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শম্পা জানিয়েছেন, বর্তমানে টেণ্ডার হচ্ছে অনলাইনে। ফলে টেণ্ডার নিয়ে দুর্নীতির কোনো অবকাশই নেই। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারই টেণ্ডার পাশ হয়েছে। সোমবার যাঁরা টেণ্ডার পেয়েছেন তাঁদের ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হবে। ফলে তার আগে টেণ্ডার দেওয়া নিয়ে অভিযোগ উঠছে কি ভাবে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়েছেন তিনি।
Tags Purba Bardhaman Purba Bardhaman Zilla Parishad Sabhadhipati Zilla Parishad
Check Also
বর্ধমানে আয়োজিত হলো পঞ্চম শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রবিবার …