Breaking News

বর্ধমানে শুরু হলো রাইস অ্যান্ড গ্রেইন প্রসেসিং এক্সিবিশন

Rice and Grain Processing Exhibition started in Burdwan

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- অনেক ব্লকে যে পরিমাণ ধান উৎপাদিত হয়, সেই ব্লকের কিষাণ মাণ্ডিতে বিক্রি হচ্ছে তার থেকেও অনেক বেশি পরিমাণ ধান। এই হিসাব আমি কিছুতেই বুঝতে পারি না। এটা দেখতে বলবো। শুক্রবার বর্ধমানের কাঞ্চননগরের কঙ্কালেশ্বরী কালীমন্দির প্রাঙ্গণে ২৯ তম আন্তর্জাতিক রাইস অ্যান্ড গ্রেইন প্রসেসিং এক্সিবিশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করলেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন উদ্বোধক রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, জেলাশাসক আয়েষা রানি এ, কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ্চন্দ্র সরকার-সহ খাদ্য দপ্তরের সচিব, বিজনেস এম্পায়ার গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুরিন্দ্রার গুপ্তা এবং রাজ্য ও বর্ধমান ডিস্ট্রিক্ট রাইস মিলস অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বপনবাবু বলেন, তিনি সমালোচনা করছেন না, কিন্তু হিসাব গোলমাল হয়ে যায় তাঁর। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর খাদ্য সাথীর সুবিধা নিতে এখন চারচাকা দাঁড় করিয়ে অনেকে রেশনের চাল নেন। তিনি বলেন, সেই চাল আবার রেশন দোকানের অদূরেই দাঁড়িয়ে থাকা লোক ২৬ টাকা কেজি দরে কিনে নেন। সেই চালই খোলাবাজারে ৩২ টাকা করে কিনতে হয়। গরীব মানুষেরা এই চাল বিক্রি করে মিনিকিট খাচ্ছে। যেভাবেই হোক গরিবরা তো মিনিকিট খেতে পাচ্ছেন – এটাও ভাবতে হবে। স্বপনবাবু এদিন বলেন, চাষীদের ধান বিক্রির ক্ষেত্রেও ধানের মধ্যে কাঁকর, পাথর মেশানোর বিষয়টিতেও নজর দেওয়া দরকার। Rice and Grain Processing Exhibition started in Burdwan অন্যদিকে, এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, এখন আর ৪০০ কেজি ধান ৬০০ কেজি হওয়ার কথা যেটা স্বপনবাবু বলছিলেন সেটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ ধান ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে থ্রিম্যানস কমিটি আছে। তাঁরা এফএকিউ দেখে ধান নেন। খাদ্যমন্ত্রী জানান, এখন রেশন দোকানের ক্ষেত্রেও আর যাকে তাকে দিয়ে মাল নেবার বিষয় নেই। যাঁর কার্ড তাকেই ই-পস মেশিনে ছাপ দিয়ে মাল নিতে হচ্ছে। একইভাবে কিষাণ মাণ্ডি অথবা ধান ক্রয় কেন্দ্রগুলিতেও চাষিকে তার আঙুলের ছাপ দিয়েই ধান বিক্রি করতে হয়। প্রসঙ্গত, তিনি জানান, আগে রাইস মিলাররা অভিযোগ করতেন তাঁরা সরকারকে চাল দিলেও টাকা পাচ্ছেন না। এখন এসব অভিযোগ হয় না। কারণ হিসাব দিলেই সঙ্গে সঙ্গে চেক দেওয়া হয়। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংগঠনের সভাপতি আব্দুল মালেক জানান, রাইস মিলের বিদ্যুৎ নিয়ে একটি নীতি থাকা দরকার। কিন্তু এক একটি রাইস মিলের বিদ্যুতের মূল্য এক একরকম। এছাড়াও রাজ্য সরকারের নির্দেশ মত জেলায় জেলায় ওয়ান উইনডো চালু করার কথা থাকলেও অনেক জেলাতেই নোডাল অফিসারকে খুঁজে পাওয়া যায় না। বক্তব্য রাখতে গিয়ে এব্যাপারে জেলাশাসক আয়েষা রানি এ জানিয়েছেন, এব্যাপারে তিনি যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। উল্লেখ্য, বিজনেস এম্পায়ার গ্রুপের উদ্যোগে এবং বর্ধমান ডিস্ট্রিক্ট রাইস মিলস অ্যাসোসিয়েশন ও বেঙ্গল রাইস মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় আয়োজিত এই রাইস অ্যান্ড গ্রেইন প্রসেসিং এক্সিবিশন চলবে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত।

About admin

Check Also

The fifth short film festival was organized in Burdwan

বর্ধমানে আয়োজিত হলো পঞ্চম শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রবিবার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *