বিপুন ভট্টাচার্য, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- ভোটের দিন এগিয়ে আসতে না আসতেই বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের ঘটনায় উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করল। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্তও বিজেপি বর্ধমান–দুর্গাপুর লোকসভা আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেনি। কিন্তু বিজেপির একমাত্র এবং একজনই প্রার্থী নরেন্দ্র মোদি – এটাকেই সামনে রেখে চলছে বিজেপির প্রচারাভিযান। আর বিজেপির এই প্রচারকে দফায় দফায় বাধা দেওয়া এবং বিজেপি কর্মীদের মারধর করার অভিযোগে ক্রমশই উত্তেজনা বাড়তে শুরু করল বর্ধমান শহর জুড়ে। এদিকে, নির্বাচনী প্রচারে বের হওয়া বিজেপি কর্মী নেতৃত্বদের ওপর পরপর তৃণমূলের হামলার ঘটনায় রবিবার রাত থেকেই তীব্র উত্তেজনা দেখা দিল। বিজেপি জেলা যুব মোর্চার সভাপতি শ্যামল রায় জানিয়েছেন, রবিবার রাতে বর্ধমান শহরের ২৭ নং ওয়ার্ডে বিজেপির কার্যকর্তারা যখন বিগ্রেড সভার প্রস্তুতির জন্য পোষ্টার মারছিল সেই সময় ২৭ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার বসির আহমেদ ওরফে বাদশার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় বিজেপি কর্মীদের ওপর। ব্যাপক মারধর করা হয়। তাদের মধ্যে একজনকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালেও ২৭ নং ওয়ার্ডে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল বিজেপি শিবিরে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই পাশাপাশি সোমবার বিকালে ২৩ নং ওয়ার্ডে বিজেপির পথসভার ওপর তৃণমূলের হামলার অভিযোগ তোলা হয়েছে। ৪জন বিজেপি সমর্থককে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন শ্যামল রায়। পরপর বিজেপি সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় বর্ধমান সদর থানায় বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি বিসিরোড এবং রাতে কার্জন গেটের সামনে জিটিরোড অবরোধ করেন বিজেপি সমর্থকরা। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানানো হয়। যদিও এব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক খোকন দাস জানিয়েছেন, বিজেপি সম্পূর্ণভাবে গোটা বর্ধমান শহরে মিথ্যা অভিযোগ তুলে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চাইছে। তিনি জানিয়েছেন, কোথাও কোনো মারধর করার ঘটনা ঘটেনি। খোকন দাস জানিয়েছেন, সোমবারই বিকালে বিজেপি থেকে ৩০জন লক্ষ্মীপুর মাঠ এলাকার কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন দপ্তরের কর্মীরা সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন। রয়েছে পুলিশও। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করছে বিজেপি। অপরদিকে, ২৭ নংওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার বসিরউদ্দিন আহমেদ ওরফে বাদশা জানিয়েছেন, রবিবার রাতে ৩টি বাইকে করে বিজেপি সমর্থকরা ২৭নং ওয়ার্ডের কয়েকটি তৃণমূলের দেওয়াল লিখনকে কাদা, গোবর দিয়ে মুছে দেবার চেষ্টা করছিল। সেটা দেখতে পেয়ে এলাকার মানুষজন তাড়া করলে তারা পালিয়ে যায়। এরপর সোমবার সকালে বিজেপি সমর্থকরাই ফের অস্ত্র হাতে নিয়ে গোটা এলাকা দাপিয়ে যায়। বাদশা জানিয়েছেন, ওদের পায়ের তলার মাটি নেই। তাই মিথ্যা অভিযোগ তুলে বাজার গরম করতে চাইছে বিজেপি।
Tags Lok Sabha Election
Check Also
বন্ধুর সঙ্গে পিৎজা খেতে বের হয়ে ধর্ষণের শিকার যুবতী, গ্রেপ্তার ৫
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বন্ধুর সঙ্গে পিৎজা খেতে বের হয়ে ধর্ষণের শিকার হলেন এক যুবতী। …