মেমারী (পূর্ব বর্ধমান) :- মেমারী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলেজ ক্যাম্পাসেই একাধিক পোষ্টারকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হল। পোষ্টারে লেখা হয়েছে – কলেজের অধ্যক্ষ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। সেই প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে তিনি বিপুল সম্পত্তি করেছেন। এমনকি মেয়ে জামাইয়ের চাকরীও করিয়ে নিয়েছেন। তাই সিবিআই তদন্ত চাই। পোষ্টারে কোথাও আমরা চাকরী প্রার্থী আবার কোথাও মেমারীবাসীর নামে কলেজ ক্যাম্পাসেই পোস্টার দেওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেমারী কলেজে। মেমারী কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশীষ চক্রবর্তীর নামে দেওয়া এই পোস্টারে অধ্যক্ষ দেবাশীষ চক্রবর্তীর সাথে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠতা ও ঘনিষ্ঠতার সুযোগে মেয়ে জামাইয়ের চাকরী বাগিয়ে নেওয়া ও বিপুল পরিমাণে সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে মেমারী কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশীষ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, কয়েকজন মিলে কলেজে একটা অরাজকতা সৃষ্টির চক্রান্ত করছে। পেরে উঠতে না পেরে এই ধরনের নোংরামির আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। এটা আমাকে কালিমালিপ্ত করার একটা চক্রান্ত। তিনি জানিয়েছেন, পোষ্টার তিনি দেখেননি। ছাত্রছাত্রীরা এসে তাঁকে জানিয়েছে। এটা খুব খারাপ লাগছে। তিনি বলেন, কলেজেরই একজন আগে কলেজে সন্ত্রাস চালিয়েছে। মধ্যে চুপ করে গেছিলেন। ফের সে কলেজকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। এটা যখন পেরে উঠছে না তখন গত এক বছর ধরে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রচার, নোংরামি করার চেষ্টা করছে। কলেজের সোশ্যালে তাঁকে জোর করে নাচিয়েছিল। আরও নানাভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারই একটা অংশ এটা। দেবাশীষবাবু জানিয়েছেন, সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে যখন তদন্ত কমিশন হয়েছিল তখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে সেটাকে বানচাল করেছিল। কলেজে ৯৯ শতাংশ ছাত্রছাত্রী ওকে চেনে। কেউ ওকে গুরুত্ব না দেওয়ায় উনি দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে। এখন মেমারি কলেজের শিক্ষা-সংস্কৃতি সব দিকেই ভালো অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু সেটাকে আবার আগের অবস্থায় নিয়ে যেতে চাইছে। ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। কিন্তু পেরে উঠছে না, তাই এই ধরনের নোংরামি করছেন। কয়েকদিন আগে ৬ জন নিরাপরাধ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল। সবাইকে ভয় পাইয়ে ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। যদিও, পোস্টার কে দিয়েছেন নাম নেই, তাই কার বিরুদ্ধে অভিযোগ করবো? – বলে জানান তিনি।