বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- যেভাবে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দিনেই বাংলার পুলিশকে দিয়ে ভোট লুঠ করা হয়েছে তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে পুলিশের যুদ্ধ শুরু হয় কিনা দেখুন। শুক্রবার বর্ধমান শহরের পায়রাখানা গলিতে খক্কর সাহেবের মাজারে চাদর চড়িয়ে জয়ের জন্য প্রার্থনা করতে এসে এই মন্তব্য করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্রজিৎ সিং অহলুওয়ালিয়া। তিনি বলেন, মমতার সরকার ইভিএমকে বিশ্বাস করতে চাইছে না। যেভাবে বাংলার পুলিশ ভোট লুঠ করেছে তাতে আগামী দিনে যুদ্ধ লেগে যায় কিনা তা নিয়েই এদিন চিন্তা ব্যক্ত করেছেন সুরেন্দ্রজিৎ সিং অহলুওয়ালিয়া। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ নির্বাচন করাতে চাইছে। রাজ্য সরকার নিজের পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে যেভাবে লুট আরম্ভ করেছে তা বরদাস্ত করা যাবে না। মানুষ ভোট দেওয়ার অধিকার পেলে তৃণমূল সরকার টিকবে না। সেই ভয়েই ওরা জোরজবরদস্তি করছে। শুক্রবার খক্কর সাহেবের মাজারে এসেও পিছু ছাড়ে নি তাঁকে দার্জিলিং ইস্যু। আর এদিন সেই ইস্যুতেই তিনি পাল্টা তোপ দেগে বলেছেন, তিনি দার্জিলিং গেছেন। মমতা বন্দোপাধ্যায় ২০১৭ সালের মার্চ মাসে যে আগুন জ্বালিয়েছিলেন তাতে চেয়েছিলেন, তিনি দার্জিলিং থাকলে তাকে জড়ানো সুবিধা হত। কিন্তু তিনি দার্জিলিং এর মানুষের সংগে ছিলেন,আছেনও। আলুওয়ালিয়া বলেন, দার্জিলিংয়ে তিনি যাননি বলে মমতা বন্দোপাধ্যায় যা প্রচার করছেন তা ঠিক নয়। তিনি যদি নাই গিয়ে থাকেন তাহলে পাসপোর্ট অফিসের উদ্বোধন কি তাঁর ভূত করেছে ? নকশালবাড়িতে ডিজিট্যাল ভিলেজের উদ্বোধনই কে করল? উনি তো শুধু পুলিশ রিপোর্টের ভিত্তিতে কাজ করেন। এদিকে, শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারে বেড়িয়ে রীতিমত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্রজিৎ সিং অহলুওয়ালিয়া। শুক্রবার সকালে বর্ধমান শহরের পায়রাখানা গলিতে খক্কর সাহেবের মাজারে চাদর চড়িয়ে জেতার জন্য প্রার্থনাও জানালেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী, বিজেপির জেলা নেতা আইনুল হক সহ ছিলেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব সহ কর্মীরাও। খক্কর সাহেবের মাজারে চাদর চড়িয়ে তিনি ওই এলাকায় প্রচারও সারেন। আর তখনই তার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল ১৯৬৯–১৯৭০ সালের পুরনো ছাত্রসংগী পুষ্পা ঘোষের সংগে। বান্ধবীর সংগে সেই সময়কার সংক্ষিপ্ত স্মৃতি রোমন্থনও করলেন তিনি। উভয়েই উভয়ের ছেলেদেরকে পরিচয় করিয়ে দিলেন। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন সুরেন্দ্রজিৎ সিং –রা। খেয়েছেন কফিও। ভোট প্রচারের ফাঁকে পুরনো দিনের সেই স্মৃতিও উঠে এল। উপস্থিত ফটোগ্রাফারদের ডেকে তোলালেন ছবিও। পুষ্পা ঘোষ জানিয়েছেন, তাঁরা একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন। পরে তিনি শুনেছিলেন সুরিন্দর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। তবে এই সুরেন্দ্রজিৎ সেই সুরিন্দর কিনা তা তিনি বুঝতে পারেননি। আজ তিনি বুঝলেন।
Tags Bardhaman-Durgapur Lok Sabha
Check Also
বর্ধমানে আয়োজিত হলো পঞ্চম শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রবিবার …