বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- গত ১ বছর ধরে চলতে থাকা গোটা রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলের স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া ভোট ঘোষণার আগেই স্থগিত করে দেওয়ার ঘটনায় পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে শিক্ষকরা ক্ষোভে ফেটে পড়লেন। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পূর্ব বর্ধমান জেলা শাখার সভাপতি বিশ্বনাথ দাস জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বন্ধ করা হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলায়। তিনি জানিয়েছেন, ১৬ মার্চ জাতীয় নির্বাচন কমিশন ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেন। আর তার ঠিক আগের দিন ১৫ মার্চ তাঁদের হোয়াটস্অ্যাপে জানানো হয় ভোটের জন্য এই নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ রাখা হচ্ছে। বিশ্বনাথবাবু জানিয়েছেন, ২০১১ সালের পর থেকে গোটা জেলায় স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। ২০১১ সালের আগে পর্যন্ত প্রতিবছর এই নিয়োগ করা হয়েছে। ২০১১ সালের পর এই নিয়োগ না হওয়ায় সিংহভাগ স্কুলে টিচার ইনচার্জ দিয়ে স্কুল চালানো হচ্ছিল। এরফলে পঠনপাঠনের সঙ্গে শিক্ষকদেরও সমস্যা হচ্ছিল। তাঁরা এব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। অবশেষে গত ১ বছর ধরে সমস্ত স্বীকৃত সংগঠনের প্রতিনিধি, ডিআই এবং এসআইদের নিয়ে একটি প্যানেল তৈরি করা হয়। সেই প্যানেল অনুযায়ীই সম্প্রতি নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছিল। পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা প্রায় ৩৪০০ টি। ইতিমধ্যে ১৫ টি চক্রে প্রায় ৭৫০ জন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্বনাথবাবু জানিয়েছেন, এরপরই হঠাৎ করে এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বন্ধ করা হয়েছে। এর ফলে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে একাধিক শিক্ষকের। কারণ ইতিমধ্যে তাঁরা যে স্কুল ছিলেন সেখান থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন কিন্তু নতুন স্কুলে যোগ দিতে পারলেন না এই বন্ধের কারণে। আবার এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করায় অনেক স্কুলেই সিঙ্গেল টিচার হয়ে গেছেন। বিশ্বনাথবাবুরা জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের এই নির্দেশ সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক এবং এর সঙ্গে ভোটের কোনো সম্পর্কই নেই। এব্যাপারে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
Check Also
বন্ধুর সঙ্গে পিৎজা খেতে বের হয়ে ধর্ষণের শিকার যুবতী, গ্রেপ্তার ৫
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বন্ধুর সঙ্গে পিৎজা খেতে বের হয়ে ধর্ষণের শিকার হলেন এক যুবতী। …