Breaking News

১৫ থেকে ১৭ নভেম্বর বর্ধমানে আন্তর্জাতিক রাইস অ্যান্ড গ্রেইন প্রসেসিং এক্সিবিশন

The 29th International Rice and Grain Processing Exhibition will be held in Burdwan from November 15 to 17.

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বাংলাদেশে চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা উঠতেই চনমনে হয়ে উঠলো পূর্ব বর্ধমান জেলার রাইসমিল ব্যবসা। সাম্প্রতিক সময়ে জেলার একটি একটি করে একাধিক রাইস মিল ধুঁকতে ধুঁকতে বিক্রির যে রীতিমত প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল, শেষ এক মাসে তারাই ফের ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই মূহূর্তে প্রায় ৫০০ রাইসমিলের মধ্যে অংশীদারী সমস্যায় কমবেশি প্রায় ৫০টি রাইসমিল বন্ধ থাকলেও বাকিগুলিতে রীতিমত জোরকদমে কাজ শুরু হয়ে গেছে বলে শুক্রবার দাবী করেছেন বর্ধমান ডিস্ট্রিক্ট রাইস মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মালেক। আগামী ১৫ থেকে ১৭ নভেম্বর বর্ধমানের কাঞ্চননগরে কঙ্কালেশ্বর কালীমন্দির মাঠে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ২৯ তম আন্তর্জাতিক রাইস অ্যান্ড গ্রেইন প্রসেসিং এক্সিবিশন। ১৫ নভেম্বর এই মেলার উদ্বোধন করবেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন রায়। উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার-সহ জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, বিধায়ক খোকন দাস এবং রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখরা। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক অদ্বৈত খাঁ এবং মেলার পরিচালক মণ্ডলীর সদস্য বিবেক গুপ্তা। এদিন আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে যে চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা এবং বাধা ছিল তা উঠে গেছে। একইসঙ্গে ভারত সরকারও আতপ ও সুগন্ধি চাল বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছিল তাও তুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে যে সমস্ত রাইসমিল এই কারণে মিল বন্ধ বা বিক্রি করে দেবার চেষ্টা করছিল তাঁরা তা থেকে পিছিয়ে এসেছেন। ফের নতুন উদ্যমে তাঁরা মিল চালু করেছেন। উল্লেখ্য, এদিন আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, বাংলাদেশে যে চাল রপ্তানি হয় তার মধ্যে বাংলা থেকেই বেশির ভাগ চাল রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শস্য ভাণ্ডার পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকেই যায় সিংহভাগ চাল। এদিন আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, ২ বছর আগে এই যে মেলা হয়েছিল বর্ধমানের কল্পতরু মাঠে সেই মেলায় ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছিল। এবারে তাঁরা আশা করছেন প্রায় ৩০০ বিভিন্ন কোম্পানী আসবে, যার মধ্যে প্রায় ৫০টি বিদেশী কোম্পানীও আসবে। ফলে এবারে ব্যবসা ২০০ কোটি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, সময়ের চাহিদা অনুসারে রাইসমিলের আধুনিকীকরণ অবশ্যম্ভাবী। সেক্ষেত্রে কি কি ধরণের আধুনিকীকরণ করা যাবে এই মেলা তারই নমুনা হাজির করা হয়। ফলে রাইসমিলাররা উপকৃত হন।

About admin

Check Also

The fifth short film festival was organized in Burdwan

বর্ধমানে আয়োজিত হলো পঞ্চম শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রবিবার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *