Breaking News

স্ত্রীর খুন হওয়ার ঘটনায় চিকিৎসকের পুলিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, তথ্য গোপন করতে দোষারোপ – দাবি পুলিসের

Driver of their vehicle killed the wife of a doctor. Doctor was injured and under treatment at the Burdwan Medical College & Hospital. Driver was arrested

গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- স্ত্রীর খুন হওয়ার ঘটনায় পুলিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ডাঃ সুব্রত নাগ। স্ত্রীর মৃত্যুর জন্য তিনি পুলিসের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করছেন। বুধবার তিনি বলেন, বাড়িতে হামলার আগে গাড়ির চালক বর্ধমান থানায় গিয়েছিল। পুলিসের কাছে আমাদের মারতে আসছে বলে জানায় সে। কিন্তু, পুলিস কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিস ব্যবস্থা নিলে ঘটনা ঘটত না। থানা থেকে বেরিয়েই গাড়ির চালক বাড়িতে চড়াও হয়। লাঠি দিয়ে আমাকে মারতে শুরু করে। বাঁচাতে এলে আমার স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে এলোপাথারি মারে সে। আমাদের দু’জনকেই খুন করার পরিকল্পনা ছিল তার। ভাগ্যক্রমে আমি বেঁচে গিয়েছি। কিন্তু, স্ত্রী বাঁচল না। যদিও পুলিস এই অভিযোগ মানতে চায়নি। তথ্য গোপন করতে তিনি দোষারোপ করছেন বলে দাবি পুলিসের।
হামলার কারণ প্রসঙ্গে সুব্রতবাবু বলেন, কালীপুজোর রাতে পাড়ায় জুয়া খেলে ২ লক্ষ টাকা হেরেছিল তপন। জুয়ায় হারলেই টাকার জন্য চাপ দিত সে। গলায় ছুরি ধরেও ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করেছে তপন। দুর্গাপুজোর সময়েও হামলা চালিয়েছিল। সেই সময় থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলাম। যদিও থানা ব্যবস্থা নেয়নি। সেই সময় ব্যবস্থা নিলে এই ঘটনা ঘটত না। তবে, তাঁর কথায় গুরুত্ব দিতে রাজি নয় পুলিস। বর্ধমান থানার এক অফিসার বলেন, টাকার জন্য গাড়ির চালক বারবার অশান্তি করেছে। তারপরও কেন তাকে কাজে বহাল রাখা হয়েছিল? কেনই বা গাড়ির চালকের দাবি মেটাতেন মালিক? কয়েক বছর আগে গাড়িচালক কাজ ছেড়ে দেয়। শহরের এক মহিলা চিকিৎসকের কাছে গাড়ি চালানোর কাজে ঢোকে সে। মহিলা চিকিৎসককে বারবার অনুরোধ করে সেখান থেকে ছাড়িয়ে আনা হয় তপনকে। কিভাবে গাড়ির চালক চিকিৎসক ও তাঁর স্ত্রীর এত ঘনিষ্ঠ হয়েছিল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে পুলিসের মনে। পুলিসি হেফাজতে থাকা তপন দাস ইতিমধ্যেই বেশকিছু তথ্য দিয়েছে পুলিসকে। যা থেকে পুলিসের অনুমান, স্রেফ টাকার জন্য নয়, খুনের পিছনে অন্য কারণও রয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় বর্ধমান থানার আইসি পিন্টু সাহা চিকিৎসকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁর বাড়িতে যান। বাড়িতে অনেক লোক থাকায় জিজ্ঞাসাবাদ না করেই ফিরে আসেন আইসি। মৌসুমী নাগের মৃতদেহ এখনও সৎকার হয়নি। আমেরিকা থেকে তাঁর ছেলে ফেরার পর দেহ সৎকার হবে। এদিনই দেহ সৎকার হওয়ার কথা। জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, তথ্য গোপন করতে পুলিসের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা চলছে। খুনের বিষয়ে অনেক তথ্য জানার বাকি রয়েছে। তা জানতে চিকিৎসক ও বাড়ির পরিচারিকাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

About admin

Check Also

MLA's mother-in-law and panchayat pradhan's names are on the list of people getting houses under the Bangla Awas Yojana

বাংলা আবাস যোজনায় নাম দোতলা বাড়ির মালিক বিধায়কের শাশুড়ি এবং পঞ্চায়েত প্রধানের

খণ্ডঘোষ (পূর্ব বর্ধমান) :- পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের তৃণমূল বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগের শ্বশুরবাড়ির একাধিক বাড়িতে হুকিং …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *