বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান থেকে শুরু হলেও মাটি উৎসবকে এবার ছড়িয়ে দেওয়া হল জেলায় জেলায়। রবিবার বর্ধমানের মাটি তীর্থ কৃষি কথা প্রাঙ্গণে প্রস্তুতির কাজ খতিয়ে দেখতে এসে একথা জানিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরাও। প্রদীপবাবু জানিয়েছেন, আগে ঠিক ছিল ৬ ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হবে মাটি উৎসব। কিন্তু ওই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী ব্যস্ত হয়ে পড়ায় তা পিছিয়ে যায়। এরই সঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্যও উৎসবের কাটছাঁট করতে হয়। সব মিলিয়ে এবছর মুখ্যমন্ত্রীর কল্পনাপ্রসূত মাটি উত্সবের একাধিক পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে।
গত কয়েকবছর ধরেই রাজ্যস্তরের মাটি উত্সব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বর্ধমানে। এর আগে অবিভক্ত বর্ধমানের পানাগড়ে দুবার মাটি উৎসব হয়। তারপর থেকে তিন বছর ধরে বর্ধমানের জেলা বীজ খামারের মাঠে মাটি উৎসবের আয়োজন হয়ে আসছে। ইতিমধ্যেই মাটি উত্সবের জন্য বর্ধমানের জেলা বীজ খামারে তৈরী হয়েছে স্থায়ী প্রাঙ্গণও। কিন্তু এবছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য একদিকে যেমন মাটি উত্সবের নির্দিষ্ট সময়ের পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে, তেমনি কমিয়ে আনা হয়েছে উত্সবের দিনও। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারী হুগলীর চুঁচুড়া থেকে মুখ্যমন্ত্রী এবছরের মাটি উত্সবের সূচনা করবেন। এবার থেকে মাটি উত্সব আর কেবলমাত্র বর্ধমান কেন্দ্রিক হবে না। রাজ্যে সমস্ত জেলাতেই হবে এই মাটি উত্সব – জানিয়েছেন প্রদীপবাবু। প্রদীপবাবু জানিয়েছেন, বিভিন্ন কারণে এবছর নিদিষ্ট দিনে বা সময়ে মাটি উৎসবের আয়োজন করা যায় নি। পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পরে যাওয়ায় মাটি উৎসবের আয়োজনে, সময়ে ও দিনের হেরফের করা হয়েছে। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারী থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত মাটি তীর্থ কৃষি কথার মাঠে মেলা চলবে। ২২ ফেব্রুয়ারী হুগলী থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের পাশাপাশি মাটি উৎসবেরও সূচনা করবেন ওই মঞ্চ থেকেই।
এবার বর্ধমানের পাশাপাশি গোটা রাজ্যের সব জেলাতেই ২২ থেকে ২৪ তিনদিনের মাটি উৎসব করা হবে। তিনি জানিয়েছেন, ২২ তারিখ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হচ্ছে ৩টে নাগাদ। আবার উচ্চমাধ্যমিক শুরু হচ্ছে ২৬ তারিখ থেকে। তাই মাটি উত্সবের উদ্বোধন হবে বিকাল ৪টে নাগাদ। বর্ধমান সহ জেলায় জেলায় মাটি উত্সবের উদ্বোধনে হাজির থাকবেন সংশ্লিষ্ট জেলার মন্ত্রী সহ জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এবারও জেলাগুলি থেকেই কৃষিক্ষেত্রে বিশিষ্ট অবদানের জন্য পুরষ্কৃত করা হবে কৃষকদের। থাকবে প্রতিটি মেলায় রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচারও। প্রদীপবাবু জানিয়েছেন, বিগত মেলাগুলি থেকে তাঁদের অভিজ্ঞতা হয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে কৃষককুল রীতিমত আগ্রহান্বিত হয়ে উঠেছেন এই মেলা নিয়ে। তাঁরা উপকৃতও হচ্ছেন। কিন্তু এবারের পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য মেলার দিন কমিয়ে আনা হচ্ছে বাধ্য হয়েই।