গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্যুতি রায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ বর্ধমান শহরের সাধনপুরে বিচারকদের আবাসন থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না পাঠায় পুলিস। মৃতদেহটি বিছানায় শায়িত ছিল। বিছানায় প্রচুর রক্তের দাগ ছিল। যা রহস্যের সৃষ্টি করেছে। কিভাবে বিছানায় রক্তের দাগ এল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃত ম্যাজিস্ট্রেটের ভাইকে থানায় নিয়ে আসে পুলিস। তার কথায় বিস্তর অসঙ্গতি পাওয়া যায়। তবে, তিনি মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ নন বলে পুলিসের অনুমান। মৃতদেহের সুরতহালের সময় বর্ধমান আদালতের এক ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার বিষয়ে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পুলিস ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি বর্ধমান আদালতে লিভ রিজার্ভ অফিসার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে অফিসে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। আদালতের গাড়িতে তাঁকে আবাসনে পৌঁছে দেওয়া হয়। রাতে তাঁর অসুস্থতা বাড়ে। পরিবারের লোকজন তাঁকে স্থানীয় এক চিকিৎসককে দেখান। চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাঁর রক্তে শর্করার পরিমাণ অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছে বলে জানান। চিকিৎসক তাঁকে ওষুধ দেন। তাঁকে স্যালাইনও দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার পরীক্ষার পর স্যালাইন চালানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাঁকে হাসপাতালে অথবা নার্সিংহোমে ভরতি করার জন্য পরামর্শ দেন চিকিৎসক। তা সত্বেও বাড়িতে রেখে তাঁর চিকিৎসা চলে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর বিষয়ে কাউকে কিছু জানাননি পরিবারের লোকজন। শুক্রবার সকালে পরিবারের লোকজন ডেথ সার্টিফিকেট জোগাড়ের চেষ্টা করেন। তখনই বিষয়টি জানাজানি হয়। খবর পেয়ে কয়েকজন বিচারক তাঁর সরকারি আবাসনে যান। বিচারকদের ঘরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। বুঝিয়ে সুঝিয়ে বিচারকরা ঘরের ভিতর ঢোকেন। আদালত কর্তৃপক্ষের তরফে বিষয়টি পুলিসকে জানানো হয়। পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি ময়না তদন্তে পাঠায়। মৃতার ভাই ও মাকে পুলিস ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
Tags Burdwan Court Judicial Magistrate unnatural death
Check Also
বর্ধমানে আয়োজিত হলো পঞ্চম শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রবিবার …