ভাতার (পূর্ব বর্ধমান) :- অভাবের তাড়নায় পড়াশোনা ছেড়ে বাধ্য হয়েই ভিক্ষা করতে হত দুই নাবালক ভাইকে। বিষয়টি নজরে আসতেই তাদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন ভাতার থানার ওসি প্রসেনজিত দত্ত। জানা গেছে, ওই দুই ভাই ভাতার থানা এলাকার বাসিন্দা। পরিবারে তারা রয়েছেন চার ভাই ও মা বাবা। বাবা শারীরিক ভাবে অক্ষম, মা কাঁথা স্টিচের কাজ করেন কিন্তু তাতে সংসার চলে না। ফলে বাধ্য হয়েই পড়াশোনা বন্ধ করে ভিক্ষা করতে হয় এই নাবালক দুই ভাইকে। উল্লেখ্য, বুধবার ভাতার থানা এলাকার একটি বাজারে বিশেষ কাজে গিয়েছিলেন ভাতার থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক প্রসেনজিত দত্ত। সেখানেই অন্যান্য দিনের মতো ভিক্ষা করছিল ওই দুই ভাই। বিষয়টি নজরে আসতেই তিনি গাড়ি থেকে নেমে দুই নাবালককে ডেকে তাদের সাথে কথা বলেন। তাদের কাছ থেকে পরিবারের এই আর্থিক অবস্থা জানার পরই নিত্য প্রয়োজনীয় বেশকিছু সামগ্রী-সহ মুদিখানা সামগ্রী নিয়ে তিনি তাদের বাড়িতে যান এবং মা-বাবার সাথে কথা বলেন। দুই ভাইয়ের পড়াশোনার জন্য খাতা পেন কিনে দিয়ে তাদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন প্রসেনজিতবাবু। শুধুমাত্র পড়াশোনার দায়িত্বই নয়, মা যাতে আয় করতে পারেন সে ব্যবস্থা করারও আশ্বাস দেন তিনি। ওই দুই নাবালকের মা জানিয়েছেন, আগে কিছু জায়গা জমি ছিল কিন্তু সংসার চালাতে তাও বিক্রি করে দিতে হয়েছে। কাঁথা স্টিচের কাজ করে কোনোরকমে সংসার চলে। ফলে বাধ্য হয়েই বড় ছেলে ও মেজ ছেলেকে ভিক্ষা করতে হয়। আজ থানার বড়োবাবু এসে দুই ভাইয়ের পড়াশোনার জন্য খাতা পেন কিনে দিয়েছেন এবং আগামী দিনে তাদের পড়াশোনার দায়িত্বও নিয়েছেন। আগামী দিনে কোনো প্রয়োজন হলে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে গেছেন তিনি। পুলিশের এই মানবিক মুখ দেখে এদিন ওই দুই নাবালকের মায়ের সঙ্গে খুশী এলাকার বাসিন্দারাও। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওদের কোনোরকমে সংসার চলে। অভাবের তাড়নায় শিশুগুলো পড়াশোনা করতে পারছেনা। এদিন ভাতার থানার বড়োবাবু এসে তাদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন। এবার শিশু দুটি পড়াশোনা করতে পারবে। পুলিশের এই ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
Tags begging
Check Also
বাংলা আবাস যোজনায় নাম দোতলা বাড়ির মালিক বিধায়কের শাশুড়ি এবং পঞ্চায়েত প্রধানের
খণ্ডঘোষ (পূর্ব বর্ধমান) :- পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের তৃণমূল বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগের শ্বশুরবাড়ির একাধিক বাড়িতে হুকিং …