বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- প্রয়াত হলেন বর্ধমান পৌরসভার প্রাক্তন সিপিআই(এম) কাউন্সিলার শান্তি পাল। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি রোগে ভুগছিলেন। রবিবার রাতে তিনি প্রয়াত হন। সিপিআই(এম) দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বর্ধমান শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন। ১৯৭০-৭১ সালে বর্ধমানের বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে পার্টির কাজের সাথে যুক্ত হন। ১৯৭৪ সালে পার্টির সদস্য হন। তিনি মহিলা সমিতির অবিভক্ত বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০১৩ সালে সিপিআইএম বর্ধমান শহর জোনাল কমিটির সদস্য হন। সিপিআইএম-এর পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিবেকানন্দ কলেজের বুথে পোলিং এজেণ্টের কাজ দায়িত্বের সাথে করার পর রাস্তায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ও সেরিব্রাল অ্যাটাকের পর শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। ২০১৬ সালের পর তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্ধমান শহরের মীরছোবা উত্তর এলাকায় নিজের বাড়িতেই প্রয়াত প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা মহিলা নেত্রীকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে আসেন সিপিআইএম পার্টির রাজ্য কমিটির সদস্য অমল হালদার, জেলা সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য তাপস সরকার, অপূর্ব চ্যাটার্জী, এরিয়া সম্পাদক তরুন রায়-সহ বর্ধমান শহর-২ এরিয়া কমিটির অন্যান্য নেতৃত্ব, কর্মী ও সমর্থকেরা। পরে এরিয়া দপ্তরেও তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। এখানে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরী, জেলা সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য তাপস সরকার, গণেশ চৌধুরী, গৌরী ব্যানার্জী, পারুল ঘোষ, দেবু রায়, জনার্দন রায়, তড়িৎ ঘোষ, উৎপল চক্রবর্তী, দীপঙ্কর দে। এছাড়া শ্রদ্ধা জানান, এরিয়া সম্পাদক তরুণ রায়, মহিলা সমিতির জেলা সম্পাদিকা সুপর্ণা ব্যানার্জী, এস এফ আই-এর জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরী, শান্তি পালের স্বামী রবিশঙ্কর পাল-সহ বর্ধমান শহর-১ ও ২ এরিয়া কমিটির অন্যান্য নেতৃত্ব, কর্মী ও সমর্থকেরা। শোকজ্ঞাপন করেছেন বর্ষীয়ান নেতা মদন ঘোষ ও জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন। উল্লেখ্য, শান্তি পাল তাঁর দেহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য দান করে গেছেন, তাই সোমবার তাঁর দেহ এরিয়া কমিটির অফিস থেকে সরাসরি বর্ধমান মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে, এদিন বর্ধমান পৌরসভার পৌরপতি-সহ সিংহভাগ কাউন্সিলার না থাকায় প্রাক্তন এই কাউন্সিলারের মৃত্যুর জন্য কোনো শোকজ্ঞাপন অনুষ্ঠান হয়নি বলে পুরসভা সূত্রে জানা গেছে। যদিও জানাগেছে, মঙ্গলবার পৌরপতি-সহ অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিতি এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Tags body donated Body Donation Burdwan Medical College Communist Party Of India ( Marxist) Communist Party of India (Marxist) CPI(M) CPM Dead body donation Posthumous Posthumous body donation Posthumous donation দেহ দান দেহদান মরণোত্তর দেহদান
Check Also
বর্ধমানে আয়োজিত হলো পঞ্চম শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রবিবার …