বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- মাধ্যমিক পরীক্ষার সিট না পড়ায় স্কুলের ক্ষুব্ধ শিক্ষিকারা পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের বর্ধমান আঞ্চলিক কার্যালয়ে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন। জানা গেছে, বর্ধমান শহরের গুড শেড রোডে অবস্থিত বর্ধমান সাধুমতী বালিকা শিক্ষাসদন বিগত দু’দশকেরও বেশী সময় মাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়ে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দীপান্বিতা রায় জানিয়েছেন, মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে আমাদের স্কুলের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানতে পারি। হঠাৎ কী কারণে এবছর আমাদের স্কুলকে বাদ দেওয়া হল তা বুঝতে পারছি না। আমরা মধ্য শিক্ষা পর্ষদের অফিসে গেলে বলা হয় বিষয়টি দেখা হচ্ছে। পর্ষদের আধিকারিকরা চার পাঁচ দিন সময় নিয়েছেন। দীপান্বিতা রায় জানিয়েছেন, ২৫-২৬ বছর ধরে মাধ্যমিকের সেন্টার হয় এই স্কুলে। গতকাল জানতে পেরেছেন এবছর সেন্টার তুলে দেওয়া হয়েছে। কেন তুলে দেওয়া হয়েছে সেটা জানতে রিজিওনাল সেন্টারে এসেছেন। যিনি দায়িত্বে আছেন তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন না। যতক্ষণ না উত্তর পাবেন এখানে ঘেরাও করে থাকবেন বলে জানান তিনি। শিক্ষিকাদের সাথে অভিভাবকেরাও এদিন এসেছেন। দীপান্বিতা রায় জানিয়েছেন, তাঁর মনে হয় উদ্দেশ্যমূলকভাবেই এই বাদ দেওয়া হয়েছে। ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, বর্ধমান শহরের অন্য একটি স্কুল বর্ধমান বাণীপীঠ উচ্চ বিদ্যালয় এবছর সিট নিতে চাইছে না, কিন্তু সেই স্কুলে মাধ্যমিকের সেন্টার করা হয়েছে, আর তাঁরা চাইছেন কিন্তু তাঁদের স্কুলে সেন্টার দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে, স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষার সিট না দেওয়ার জন্য দরবার করেছে বর্ধমান বাণীপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার দাস জানিয়েছেন, তিনি অনেক আগেই পর্ষদে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি তাঁর মেয়ে এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। বর্ধমান বাণীপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়েই মেয়ের পরীক্ষার সিট পড়বে। তাই তিনি চাইছেন এবছর তাঁর স্কুলে যেন মাধ্যমিক পরীক্ষার সিট না দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, গতবছর তিনি সেন্টার সেক্রেটারি থাকাকালীন তাঁদের স্কুলে যাকে সুপারভাইজার করা হয়েছিল তিনি পরীক্ষা সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করেছেন। অথচ তাঁদের স্কুলের কিছু শিক্ষক তাঁর সাথে অসহযোগিতা করেন। যেটা সারা বছরই করে থাকেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী গতবছর সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা ছিল। সেটা লাগাতে গিয়েও সেই সমস্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধাচারণ করেন। তাপস কুমার দাস জানিয়েছেন, এবছর তাঁর সাথে কোন আলোচনা না করেই স্কুলের অন্য একজনকে সেন্টার সেক্রেটারি পদে বসান হয়েছে। সৌজন্যতা দেখিয়েও তাঁকে জানান হয়নি। এবিষয়ে তাঁর ক্ষোভ জানান তিনি।
এই দুই স্কুলের সমস্যা প্রসঙ্গে মধ্য পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের বর্ধমান আঞ্চলিক কার্যালয়ে দায়িত্ব থাকা সুভাষ মেটে জানান, আঞ্চলিক আধিকারিক এখন বাইরে আছেন। তবে আমি অভিযোগ ও দাবি পত্র পেয়েছি। আধিকারিক আসার পর দেখা হবে গোটা বিষয়টি।