বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- নির্বাচনের প্রস্তুতি আর প্রচারের জন্য মাত্র ১৬ দিন সময় পেয়েছিলেন। তখন অন্য দলের প্রার্থীরা প্রচারে অনেক এগিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এই ১৬ দিনে তিনি তাঁর নির্বাচন কেন্দ্রের সব জায়গায় পৌঁছাতেও পারেননি। কিন্তু যেখানেই পৌঁছেছেন সেখানেই মানুষের আশীর্বাদ পেয়েছেন। তাই তিনি নিশ্চিতই ছিলেন তিনিই জয়ের সার্টিফিকেটটি নিচ্ছেন। কারণ এত মানুষের আশীর্বাদ বিফলে যেতে পারে না। সোমবার লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হবার পর প্রথম বর্ধমান শহরে পা রাখলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্রজিৎ সিং অহলুবালিয়া। এদিন বর্ধমান ষ্টেশনের মেহেদিবাগান থেকে শোভাযাত্রা সহকারে তিনি বর্ধমান টাউন হলে পৌঁছান। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রীতিমত আবেগ আপ্লুত হয়ে কেঁদেও ফেলেন। বলেন, তিনি ২৯ বছর ধরে সাংসদ হচ্ছেন। কিন্তু বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনে যেভাবে তিনি জয় পেয়ে আনন্দ পেয়েছেন তা অন্য কোনো আসনে পাননি। বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন অহলুবালিয়া মমতা বন্দোপাধ্যায়ের জয় শ্রীরাম নিয়ে উগ্র মনোভাবের সমালোচনাও করেছেন। তিনি বলেন, কাঁকর দিয়ে লাড্ডু দিয়ে মোদির দাঁত ভাঙবেন বলেছিলেন। এখন কার দাঁত ভাঙছে দেখতে হবে। জয় শ্রীরাম বললে গায়ের চামড়া গুটিয়ে নেবেন বলেছেন। অহলুবালিয়া এদিন বলেন, জয়হিন্দ শ্লোগান তো নেতাজির শ্লোগান। সেই নেতাজির বাড়ি সংস্কার করতে দেননি। সিন্ডিকেডের নামে তোলাবাজি চালান হয়। আর তাঁর শ্লোগান নিচ্ছেন উনি? এদিন তিনি বিজেপি কর্মী ও নেতাদের উদ্দেশ্যে জানান, যাঁরা দলে আসতে চাইছেন তাঁদের সকলকেই স্বাগত জানান। কিন্তু কোনো অশান্তি হতে দেবেন না। প্ররোচনায় পা দেবেন না। তিনি বলেন, যাঁরা বিরোধিতা করেছেন তাঁদের কাছে গিয়েও বলুন, সাংসদ হিসাবে একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে তিনি সকলেরই সাধ্যমত উপকার করার চেষ্টা করবেন। এদিন অহলুবালিয়ার সঙ্গে হাজির ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী, যুব মোর্চার সভাপতি শ্যামল রায় প্রমুখরাও।
Tags Bardhaman-Durgapur Lok Sabha
Check Also
বর্ধমানে আয়োজিত হলো পঞ্চম শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রবিবার …