বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- রবিবার রাত ৯ টায় দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া হল ১ লক্ষ ২৯ হাজার ১২১ কিউসেক হারে জল। যদিও এদিন সকালে মাইথন-পাঞ্চেত জলাধার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া ছাড়ার কথা জানায় ডিভিসি। ইতোমধ্যেই গোটা জেলা জুড়ে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার জানিয়েছেন, সমস্ত রকমের প্রস্তুতি তাঁরা নিয়েছেন। অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এখনও পর্যন্ত জেলায় জলবন্দি হয়ে থাকা ৫৬০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এজন্য ২৫ টি গ্রুয়েল কিচেন চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে কালনা মহকুমায় ২টি, কাটোয়া মহকুমায় ৪টি, বর্ধমান সদর দক্ষিণ মহকুমায় ৪টি, বর্ধমান সদর উত্তর মহকুমায় ১৫টি এই রান্নাঘর চালু করা হয়েছে।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের জেরে এখনও পর্যন্ত ২২৭ টি বাড়ির পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে। ১৩৮৫ টি বাড়ির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। জেলার বর্ধমান, গুসকরা, মেমারী এবং কাটোয়া ৪ টি পৌরসভায় ক্ষতি হয়েছে। মোট ৪০৭ টি গ্রাম এবং ৩৫ টি ওয়ার্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১০৪৬৯ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জেলাশাসক জানিয়েছেন, গলসী ২ এবং আউশগ্রাম ২-এর মোট ৫৫৭০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১০.২ মিলিমিটার। গোটা জেলায় পূর্ত দপ্তরের অধীনে থাকা ১৮টি রাস্তা এবং ১২টি গ্রামীণ রাস্তার ক্ষতি হয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত রিপোর্ট এসেছে। উল্লেখ্য, প্রবল বৃষ্টি এবং জলের তোড়ে বর্ধমান-কালনা রোডের অষ্টগড়িয়ার কাছে রাস্তায় ধ্বস নামায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, জলের পাইপ বসানোর জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করতে গিয়েই এই ধ্বস নামে। এরই পাশাপাশি প্রবল জলস্রোতে বাঁকা নদীর পাড় ভাঙল বর্ধমান ২ ব্লকের পুতুণ্ডা গ্রামে। বাঁকা নদীর জল পাড় ভেঙে প্লাবিত করেছে গ্রামকে।
এব্যাপারে জেলাশাসক জানিয়েছেন, বাঁধ মেরামতির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যদিও গ্রামবাসীরা নিজেরাই বাঁধ মেরামতির কাজে হাত লাগিয়েছেন। বাঁকা নদীর জল উপচে জলমগ্ন বর্ধমান শহরের বেশ কিছু এলাকাও। জলের তোড়ে ভেঙে গেছে আউশগ্রাম থেকে কালিদহ যাওয়ার রাস্তা। আউসগ্রামের বাবুরবাঁধ ঝিলতলা এলাকার কাছে ঘটনাটি ঘটে। গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে বাঁশ দিয়ে রাস্তা তৈরি করেছেন। খবর পেয়ে এলাকায় গিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পরেন আউসগ্রাম ১ ব্লকের বিডিও। দ্রুত ওই রাস্তা সারানোর আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। অন্যদিকে, পূর্বস্থলী ১ ব্লকের কিশোরীগঞ্জ এলাকায় ভাগীরথীতে ভাঙন সৃষ্টি হওয়ায় তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত যে রিপোর্ট এসেছে তা রাজ্যের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, যেহেতু এখনও অনেক রাস্তার ওপর দিয়ে জল বইছে তাই এখনও সম্পূর্ণ ক্ষতির রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, দামোদরের জল বিপদসীমার প্রায় সাড়ে ৫মিটার নিচে রয়েছে। অজয় ও ভাগীরথী নদীতে জল বিপদসীমার প্রায় দেড় মিটার নিচে রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। সকলকে সতর্ক থাকার আবেদন জানানো হয়েছে। এরই পাশাপাশি নিম্ন দামোদর এলাকা খণ্ডঘোষ, রায়না এবং জামালপুরে নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষকে গতকাল থেকেই সতর্ক করা হয়েছে। চলছে মাইকিং-এর মাধ্যমে প্রচারও। এদিকে, বানভাসি জলে মন্তেশ্বরের দেনুড় পঞ্চায়েতের ধেনুয়া গ্রামে তলিয়ে গেল দশম শ্রেণীর এক পড়ুয়া। রবিবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ধেনুয়া গ্রামের বাসিন্দা সূর্য ঘোষ স্থানীয় ভুরকুন্ডা হাইস্কুলে পড়াশোনা করত। এদিন ১৫-১৬ জনের বন্ধুস্থানীয় গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে গ্রামে বন্যার জল দেখতে যায় দশম শ্রেণীর ছাত্র সূর্য ঘোষ। তাদের সঙ্গে স্নান করতে গিয়ে গ্রামের একটি ফুটবল মাঠের থেকে কিছুটা দূরে থাকা একটি খালের কাছে চোখের নিমেষে সে বন্যার জলের স্রোতে তলিয়ে যায়। সঙ্গীরা তাঁকে বাঁচাতে চেষ্টা চালালেও ব্যর্থ হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মন্তেশ্বর থানা পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা। নামানো হয় নৌকা। কালনা থেকে ডুবুরি আনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এব্যাপারে অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অমিয় কুমার দাস জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের জেরে এখনও পর্যন্ত ২২৭ টি বাড়ির পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে। ১৩৮৫ টি বাড়ির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। জেলার বর্ধমান, গুসকরা, মেমারী এবং কাটোয়া ৪ টি পৌরসভায় ক্ষতি হয়েছে। মোট ৪০৭ টি গ্রাম এবং ৩৫ টি ওয়ার্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১০৪৬৯ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জেলাশাসক জানিয়েছেন, গলসী ২ এবং আউশগ্রাম ২-এর মোট ৫৫৭০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১০.২ মিলিমিটার। গোটা জেলায় পূর্ত দপ্তরের অধীনে থাকা ১৮টি রাস্তা এবং ১২টি গ্রামীণ রাস্তার ক্ষতি হয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত রিপোর্ট এসেছে। উল্লেখ্য, প্রবল বৃষ্টি এবং জলের তোড়ে বর্ধমান-কালনা রোডের অষ্টগড়িয়ার কাছে রাস্তায় ধ্বস নামায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, জলের পাইপ বসানোর জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করতে গিয়েই এই ধ্বস নামে। এরই পাশাপাশি প্রবল জলস্রোতে বাঁকা নদীর পাড় ভাঙল বর্ধমান ২ ব্লকের পুতুণ্ডা গ্রামে। বাঁকা নদীর জল পাড় ভেঙে প্লাবিত করেছে গ্রামকে।
এব্যাপারে জেলাশাসক জানিয়েছেন, বাঁধ মেরামতির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যদিও গ্রামবাসীরা নিজেরাই বাঁধ মেরামতির কাজে হাত লাগিয়েছেন। বাঁকা নদীর জল উপচে জলমগ্ন বর্ধমান শহরের বেশ কিছু এলাকাও। জলের তোড়ে ভেঙে গেছে আউশগ্রাম থেকে কালিদহ যাওয়ার রাস্তা। আউসগ্রামের বাবুরবাঁধ ঝিলতলা এলাকার কাছে ঘটনাটি ঘটে। গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে বাঁশ দিয়ে রাস্তা তৈরি করেছেন। খবর পেয়ে এলাকায় গিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পরেন আউসগ্রাম ১ ব্লকের বিডিও। দ্রুত ওই রাস্তা সারানোর আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। অন্যদিকে, পূর্বস্থলী ১ ব্লকের কিশোরীগঞ্জ এলাকায় ভাগীরথীতে ভাঙন সৃষ্টি হওয়ায় তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত যে রিপোর্ট এসেছে তা রাজ্যের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, যেহেতু এখনও অনেক রাস্তার ওপর দিয়ে জল বইছে তাই এখনও সম্পূর্ণ ক্ষতির রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, দামোদরের জল বিপদসীমার প্রায় সাড়ে ৫মিটার নিচে রয়েছে। অজয় ও ভাগীরথী নদীতে জল বিপদসীমার প্রায় দেড় মিটার নিচে রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। সকলকে সতর্ক থাকার আবেদন জানানো হয়েছে। এরই পাশাপাশি নিম্ন দামোদর এলাকা খণ্ডঘোষ, রায়না এবং জামালপুরে নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষকে গতকাল থেকেই সতর্ক করা হয়েছে। চলছে মাইকিং-এর মাধ্যমে প্রচারও। এদিকে, বানভাসি জলে মন্তেশ্বরের দেনুড় পঞ্চায়েতের ধেনুয়া গ্রামে তলিয়ে গেল দশম শ্রেণীর এক পড়ুয়া। রবিবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ধেনুয়া গ্রামের বাসিন্দা সূর্য ঘোষ স্থানীয় ভুরকুন্ডা হাইস্কুলে পড়াশোনা করত। এদিন ১৫-১৬ জনের বন্ধুস্থানীয় গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে গ্রামে বন্যার জল দেখতে যায় দশম শ্রেণীর ছাত্র সূর্য ঘোষ। তাদের সঙ্গে স্নান করতে গিয়ে গ্রামের একটি ফুটবল মাঠের থেকে কিছুটা দূরে থাকা একটি খালের কাছে চোখের নিমেষে সে বন্যার জলের স্রোতে তলিয়ে যায়। সঙ্গীরা তাঁকে বাঁচাতে চেষ্টা চালালেও ব্যর্থ হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মন্তেশ্বর থানা পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা। নামানো হয় নৌকা। কালনা থেকে ডুবুরি আনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এব্যাপারে অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অমিয় কুমার দাস জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।