নিজস্ব প্রতিবেদন, মেমারি (পূর্ব বর্ধমান) :- মেমারি থানার মোহনপুরের তালপাড়ায় সালিশি সভায় মারধরের ফলে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক মহিলা সহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতদের নাম গণেশ দেহেরি ও ছাবিয়া মির্ধা। মোহনপুরের তালপাড়াতেই তাদের বাড়ি। রবিবার ভোরে বাড়ি থেকে পুলিস তাদের গ্রেপ্তার করে। এদিনই ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের রবিবার পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্তসিজেএম কল্লোল ঘোষ।
পুলিস জানিয়েছে, গ্রামের রাস্তার ধারে রাখা খড়ের গাদায় দিনকয়েক আগে আগুন লেগে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ আগুন লাগার পিছনে গ্রামের রামলাল দেহেরির হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করে। মদ খেয়ে তিনি আগুন লাগিয়েছেন বলে সন্দেহ হয় তাদের। এর জন্য ১০ জুন সন্ধ্যায় গ্রামে সালিশি সভা বসানো হয়। সেখানে রামলালকে ডেকে পাঠানো হয়। সভা চলাকালীন অন্ধকারে নিয়ে গিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে কুচুট গ্রামের ভিলেজ পুলিস সাদ্দাম আলি দফাদার মেমারি থানায় ফোন করেন। তার কাছ থেকে জানতে পেরে মেমারি থানার পুলিস রামলালকে গণপ্রহার থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরের দিন সকালে পরিবারের লোকজন থানা থেকে রামলালকে ছাড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেদিনই সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন রামলাল। তাকে মেমারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই শনিবার সকালে তিনি মারা যান। ঘটনার বিষয়ে মৃতের কাকা ভগৎ দেহেরি মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ৮ জনের বিরুদ্ধে তিনি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনেছেন। তার অভিযোগ সালিশি সভায় মারধরের ফলে ভাইপোর মৃত্যু হয়েছে। বাকি অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে মেমারি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে।
Tags Barddhaman Bardhaman Burdwan Memari Murder
Check Also
গত এক মাসে পূর্ব বর্ধমান জেলায় লাগাতার ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় ফের পথে নামছেন আন্দোলনকারীরা
বিপুন ভট্টাচার্য, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- এক মাসের মধ্যে কেবলমাত্র পূর্ব বর্ধমান জেলাতেই একাধিক ধর্ষণ এবং …