বর্ধমান, ১৭ ফেব্রুয়ারিঃ- মানসিক ভারসাম্যহীন নাবালিকাকে ধর্ষনের চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতের নাম গৌতম আচার্য। বর্ধমান শহরের সাহাচেতন বালি বাগান এলাকায় বর্তমানে সে পরিবার নিয়ে থাকে। তার আদি বাড়ি অসমের উত্তর লখিনপুর জেলার দলুহাট থানার কোলাখোয়া গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে সাহাচেতন এলাকায় আসে গৌতম। নিজেকে কবিরাজ চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে সে সেখানে ঘর ভাড়া নেয়। কিছুদিন পর পাড়ারই একটি মহিলাকে সে বিয়ে করে। শুক্রবার ১৩ -১৪ বছরের একটি মেয়েকে সে বাড়িতে আনে। চিকিৎসার জন্যই মেয়েটিকে বাড়িতে আনা হয়েছে বলে প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসায় জানায়। পরের দিন মেয়েটিকে সে ধর্ষনের চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে মেয়েটিকে প্রচন্ড মারধর করে সে। মেয়েটির আর্তনাদ শুনে প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে। এরপর গৌতমকেও পেটায় স্থানীয় বাসিন্দারা। তার মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দা শেখ মোস্তাফার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। রবিবার ধৃতকে বর্ধমানের সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। অভিযুক্তের হয়ে কোনও আইনজীবী আদালতে দাঁড়াননি। ভারপ্রাপ্ত সিজেএম মধুসূধন পাল ধৃতকে ২ মার্চ পর্যন্ত জেল হেপাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ধর্ষনের চেষ্টা এবং নাবালিকার উপর যৌন নিপীড়ন চালানোর ধারায় কেস রুজু করলেও নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করানোর জন্য আদালতে কোনও আবেদন জানায়নি পুলিশ।
অন্য একটি ঘটনায় ভাতার থানার মাধপুর গ্রামে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠল বিবাহিত এক প্রতিবেশির বিরুদ্ধে। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নির্যাতিতা চিকিৎসাধীন। নাবালিকাকে ধর্ষনের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তকে মারধর করে। যদিও পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ছাড়া পাওয়ার পরই গ্রেপ্তারি এড়াতে সে গা-ঢাকা দিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও অভিযুক্তের হদিশ পায়নি পুলিশ। ভাতার থানার ওসি সঞ্জয় কুন্ডু বলেন, অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। আশা করি খুব শীঘ্রই তাকে ধরা সম্ভব হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় পাড়তেই সরস্বতী ঠাকুর দেখতে গিয়েছিল মাধপুর প্রাইমারি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীটি। সেখানেই ছিল প্রতিবেশি কাদাই বাগ। সে কেবালায় দিন মজুরের কাজ করে। দিন দুয়েক আগে সে গ্রামে ফিরেছে। আত্মীয়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে তার স্ত্রী কাটোয়ায় গিয়েছেন। সরস্বতী ঠাকুর দেখে বাড়ি ফেরার সময় কাদাই মেয়েটিকে স্থানীয় একটি পুকুর পাড়ে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে সে মেয়েটিকে ধর্ষন করে বলে অভিযোগ। বাড়ি ফিরে মেয়েটি ঘটনার কথা পরিবারের লোকজনকে জানায়। পরিবারের লোকজন তাকে তড়িঘড়ি ভাতার হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে বর্ধমান হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।