বর্ধমান, ১৯ জানুয়ারিঃ-শুরু হল চতুর্দশ বর্ধমান উৎসব ২০১৩। ১৯ জানুয়ারি থেকে ২৭ জানুয়ারি ৯ দিন ধরে বর্ধমান শহরের উৎসব ময়দানে নাচ, গান, অভিনয়, কবিতা, প্রদর্শনী ও বিপণনকে কেন্দ্র করে চলবে এই উৎসব। বর্ধমানের ইতিহাস, শিল্প, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরাই এই মেলার উদ্দেশ্য। আজ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ হাইকমিশনের উপ-রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব কাজী মোস্তাক জাহির, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য্য ডঃ ষোড়শী মোহন দাঁ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উদয় শংকর সরকার, বর্ধমান পৌরসভার পৌরপতি আইনুল হক এবং বর্ধমান উৎসব উদযাপন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক তথা সদর মহকুমা শাসক প্রদীপ আচার্য্য ও উপ-পৌরপতি তনুশ্রী সাহা।
উপ-রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, ভারতের সহযোগিতা না পেলে, মুক্তিযুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্ভব হতনা।আজ বর্ধমানে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। ভারতের অনেক জায়গার নাম বাংলাদেশের মানুষ না জানলেও, বর্ধমান জেলার নাম বাংলাদেশের সবাই জানেন।
প্রথম সচিব কাজী মোস্তাক জাহির বলেন, কাজী নজরুল ইসলামের জন্মস্থান এই বর্ধমান। বাংলাদেশের সাথে বর্ধমানকে যোগসূত্রে মিলিয়েছেন নজরুল। সেই বর্ধমানের একটি উৎসবে আসতে পেরে আমার খুব ভাল লাগছে।
বর্ধমান পৌরসভার পৌরপতি তথা উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি আইনুল হক বর্তমান রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক অবস্থার সমালোচনা করে বলেন, বর্ধমান শহরে যত বড়বড় কাজ হয়েছে তা করার জন্য আমরা প্রশাসন ও স্বশাসিত সংস্থা গুলি একসাথে কাজ করেছি। এখন ঐক্যের সুর কেটে যাচ্ছে। বর্ধমানের মানুষ বলুক উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সেখানে জাত-ধর্ম-রাজনীতি থাকবেনা। আমরা পারব এই বিশ্বাস আছে।