Breaking News

তৃণমূলীদের বিরুদ্ধে বাম আমলে হওয়া মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের কাজ শুরু হ’ল বর্ধমানে।

ঘটনার দিনের ফাইল চিত্র।
ঘটনার দিনের ফাইল চিত্র।

বর্ধমান, ০৬ জানুয়ারীঃ- তৃণমূলীদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার মামলা প্রত্যাহারের কাজ শুরু হ’ল বর্ধমানে। পুলিশের উপর হামলা চালানো এবং থানায় ভাঙচুর চালানোয় অভিযুক্ত তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া একটি মামলা প্রত্যাহারের সরকারি আরজিতে সিল মোহর দিল আদালত। বর্ধমান এবং খন্ডঘোষ থানার আরও দু’টি মামলা প্রত্যাহারের জন্য একই ভাবে সরকারি তরফে আবেদন জানানো হয় বর্ধমানের সিজেএম আদালতে। বর্ধমানের সিজেএম সেলিম আহমেদ আনসারি সেই আবেদন মঞ্জুর করে মামলা প্রত্যাহারের সরকারি সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছেন। মামলা থেকে অভিযুক্ত তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের খালাসের সিদ্ধান্তে শুক্রবার সি করেছেন বিচারক।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালের ১২ জুন রায়নার তৃণমূল নেতা বামদাস মন্ডলকে পুলিশ গ্রেপ্তার ক্রে।তাঁকে রায়না থানার বেশ কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। নিরাপত্তা জনিত কারনে তাঁকে রায়না থানার পরিবর্তে বর্ধমান থানার লক আপে রাখা হয়। পরের দিন সকাল ৯ টা নাগাদ নার্গিস বেগম, সুশান্ত ঘোষ, জয়দেব মুখোপাধ্যায়, আবদুল রবের নেতৃত্বে তৃণমূলের লোকজন বর্ধমান থানায় বিক্ষোভ দেখাতে যায়। বিক্ষোভ চলা কালীন পুলিশের সঙ্গে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের গন্ডগোল বাঁধে। ব্যাপক লাঠি চার্জ করে পুলিশ বিক্ষোভ কারীদের হটিয়ে দেয়। পরে বর্ধমান থানার তৎকালীন আইসি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় স্বতঃপ্রনোদিত হয়ে তৃনমূলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মীদের উপর হামলা, থানায় ভাঙচুর, বেআইনি জমায়েতের অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট ভাবে ১০ জিন সহ আরও ৯০০-১০০০ জন তৃনমূলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কেস রুজু করে বর্ধমান থানা। অভিযোগ পেয়ে দু’জন তৃণমূল কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তারও করে।

তদন্ত করে ২০১০ সালের ৩ মার্চ তদন্তকারী অফিসার নবেন্দু দে অভিযুক্ত তৃনমূলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করেন। চার্জশিট পেশ করার পর দুবছরেরও বেশি কেটে গেলেও মামলাটির বিচার এখনও শুরু হয়নি। রাজ্যে পালাবদলের পর বাম আমলের বিরোধী বিশেষত তৃনমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে চলা মামলা গুলি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো বর্ধমানের তৎকালীন ডিরেক্টর অব প্রসিকিউশন নুপুর দাস আগরওয়াল কয়েকটি মামলা প্রত্যাহারের জন্য জেলা শাসকের মাধ্যমে ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে আবেদন জানান। ডিভিশনাল কমিশনার সেই আবেদন লিগ্যাল রিমেমব্রেন্স দপ্তরে পাঠান। সেখান থেকে সম্মতি নেবার মেলার পর সিজেএম আদালতের সরকারি আইনজীবী চন্দ্রনাথ গোস্বামী মামলা প্রত্যাহারের জন্য আরজি জানান। সিজেএম সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।

অভিযুক্তের দুই আইনজীবী উদয় শংকর কোনার ও বিশ্বজিৎ দাস বলেন, বাম আমলে বিরোধী দলের নেতা ও কর্মীদের বহু মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর সেই রকম বেশ কিছু মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৩ টি মামলা প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হয়েছিল। তার মধ্যে একটি মামলা প্রত্যাহারের ব্যাপারে আদালত নির্দেশ দিয়েছে।

 

INJURED - SAMIR ROY, TMC COUNCILOR, BURDWAN MUNICIPALITY copy

ঘটনার দিনের ফাইল চিত্র।
ঘটনার দিনের ফাইল চিত্র।

TEAR GAS (4) copy

ঘটনার দিনের ফাইল চিত্র।
ঘটনার দিনের ফাইল চিত্র।

P1360032 copy

ঘটনার দিনের ফাইল চিত্র।
ঘটনার দিনের ফাইল চিত্র।

LATHI CHARGE (2) copy LATHI CHARGE (1) copy

About admin

Check Also

Doctor Birupaksha Biswas was transferred to Kakdwip a year ago, did not go

এক বছর আগেই কাকদ্বীপে বদলি করা হয় চিকিৎসক বিরূপাক্ষকে, যাননি; ক্যান্টিন মালিক আইনের পথে

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বিতর্কিত চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে এক বছর আগেই স্বাস্থ্য দপ্তর বদলির নির্দেশ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *