Breaking News

প্রথাভেঙ্গে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব ক্রীড়া বিভাগের পরিবর্তে তৃণমূল প্রভাবিত সংগঠনের হাতে

বর্ধমান, ২৮ জানুয়ারিঃ-প্রথাভেঙ্গে কর্মচারীদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব ক্রীড়া বিভাগের পরিবর্তে তৃণমূল প্রভাবিত একটি সংগঠনের হাতে দিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কর্মচারীদের একটি বিশেষ সংগঠনকে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মচারী সংগঠনটিকে খুশি করতেই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন রেজিস্ট্রার। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনার জন্য ক্রীড়া বিভাগকেই দায়ী করেছেন রেজিস্ট্রার। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক কর্মচারী সংগঠন থাকার কারনেই এ’ধরনের পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

বাম আমলে কর্মচারীদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব কাগজে কলমে পেত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া বিভাগ। যদিও সিপিএম প্রভাবিত বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ইউনিয়নই প্রতিযোগিতা আয়োজনে মাতব্বরি করত। সরকার পরিবর্তনের পর গত দু’বছরে অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। কাগজে কলমে ক্রীড়া বিভাগের হাতেই প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব ন্যস্ত ছিল। যদিও তৃণমূলের দু’টি কর্মচারী সংগঠন প্রতিযোগিতা আয়োজনে মাতব্বরি করে। এবার ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব মোহন বাগান মাঠে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেই প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তৃণমূলেরই একটি কর্মচারী সংগঠনকে। এনিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ দলেরই অপর সংগঠনের নেতারা। সেই সংগঠনের অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে ক্রীড়া বিভাগের পরিবর্তে একটি বিশেষ সংগঠনকে প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা চরম অন্যায়। এতে বিশেষ একটি সংগঠনকে মদত দেওয়া হচ্ছে। রেজিস্ট্রার শ্রীপতি মুখোপাধ্যায় বলেন, ক্রীড়া বিভাগ দায়িত্ব নিলে সবচেয়ে ভালো হত। কিন্তু, তারা দায়িত্ব নিতে না চাওয়ায় একটি সংগঠনকে প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আসলে কর্মচারীদের ৩ টি সংগঠন থাকার জন্যই এধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তবে, এর সঙ্গে কাউকে মদত দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। ক্রীড়া আধিকারিক সুরজিৎ নন্দী বলেন, এতদিন ক্রীড়া বিভাগই প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্ব পালন করে এসেছে। তবে, এনিয়ে নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম নেই। এটা প্রথা মাত্র। আমাদের দায়িত্ব দিলে তা অবশ্যই পালন করব। তবে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ স্মৃতি কুমার সরকার বলেন, বিষয়টা আমার জানা নেই। তবে, খোঁজ নিয়ে দেখছি।

About admin

Check Also

The fifth short film festival was organized in Burdwan

বর্ধমানে আয়োজিত হলো পঞ্চম শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রবিবার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *