বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- পূর্ব বর্ধমানের মেমারী থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করল ইণ্ডিয়ান রেলওয়ে ট্র্যাফিক সার্ভিসের অফিসার হিসাবে পরিচয় দিয়ে নীল বাতি লাগানো গাড়িতে যাওয়া এক যুবককে। তারই সঙ্গে পুলিশ গ্রেপ্তার করল আরও ৩ জনকে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতদের নাম সন্দীপ বিশ্বাস, শুভম রায়, কবিরুল আলি ও আকাশ ধর। এদের প্রত্যেকেরই বাড়ি বারাসাত ও মধ্যমগ্রাম এলাকায়। এই ঘটনায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ভারত সরকার লেখা নীলবাতি লাগানো গাড়ি ও জাল আইকার্ড। উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২ রাউন্ড গুলি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতরা নীলবাতি গাড়ি করে কলকাতা অভিমুখে যাওয়ার সময় শনিবার রাতে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পালসীট এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পরে। পরে পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সন্দীপ বিশ্বাস নিজেকে আইআরটিএস অফিসার হিসেবে পরিচয় দেয় এবং একই সাথে সে নিজেকে আরআরবি অর্থাৎ রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সদস্য হিসাবেও দাবি করে। এর মধ্যে আবার আরপিএফ কর্মীর পোশাক পরিহিত শুভম রায় নিজেকে আরপিএফ কর্মী হিসাবে পরিচয় দেয়। বাকি ২ জন কবিরুল আলি ও আকাশ ধর নিজেদের রেলের গ্রুপ ডি কর্মী হিসেবে পরিচয় দেয়। তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ ধৃতদের পরিচয় জানার চেষ্টা করে রেল দপ্তরের কাছে। পুলিশ জানতে পারে এরা রেলের সঙ্গে কোনো ভাবেই যুক্ত নয় এবং তাদের দেওয়া নথিও জাল। এরপরই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। পুলিশের দাবি, ধৃতদের তল্লাশিতে শুভম রায়ের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ভারত সরকার লেখা নীলবাতি গাড়িটি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মেমারী থানার পুলিশ। কেন ধৃতরা নীলবাতি লাগানো গাড়ি-সহ ভারত সরকারের নাম করে ঘুরছিল এবং ধৃতরা কী ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তা জানার চেষ্টা শুরু করেছে মেমারী থানার পুলিশ।
Check Also
বর্ধমানে আয়োজিত হলো পঞ্চম শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রবিবার …