বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ থানার কালনা গ্রামে গ্রামবাসীদের অজান্তে শয়ে শয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি এবং তার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেনের ঘটনা লোকসভায় তোলার প্রতিশ্রুতি দিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। শনিবার বর্ধমানে বিজেপি জেলা অফিসে এসে সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের সবাই চোর। মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে হবে তাঁর দুই সেনাপতি পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার -যারা চোরেদের দলপতি। খন্ডঘোষ বিধানসভার কালনা গ্রামে যে সমস্ত মানুষের ব্যাংকে পা পড়েনি। ব্যাংকে কোনোদিন পৌঁছান নি। তাঁদের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেন কী করে হলো। কার টাকা এই অ্যাকাউন্টে ঢুকে আবার সাইফুন হয়ে কালীঘাটে পৌঁছে গেলো। এটা শুধুমাত্র একজনের মাথা নয়। সৌমিত্র খাঁ বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে এটা সোনামুখীতে দেখেছিলাম। গরীব মানুষের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা লেনদেন এবং লোন করা হয়েছিল। এবার কালনা গ্রামে প্রায় শতাধিক মানুষের নামে ব্যাংকের ভুয়ো অ্যাকাউন্ট হয়ে এই লেনদেন হলো। তিনি বলেন, জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার কী করছেন। তাঁরা বিজেপিকে ধরতে সব সময় পুলিশ পাঠিয়ে দিচ্ছেন। কেন এই ঘটনার তদন্ত করছেন না। এটা কোনও মন্ত্রীর টাকা কিনা তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই। সৌমিত্র খাঁ এদিন সাফ জানিয়ে যান, আগামী সোমবার এটা লোকসভায় তুলবেন। অর্থ মন্ত্রীর কাছে আবেদন করবেন, যেহেতু ব্যাংক এটায় যুক্ত -তাই রিজার্ভ ব্যাংকে চিঠি লিখবেন। ইডি যেন এটা নিয়ে তদন্ত করে, সিবিআইও তদন্ত করতে পারে। কোটি কোটি টাকা গরীব মানুষের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কোথায় গেল? তিনি বলেন, ৩০ মে ২০২৩ অভিযোগ হয়েছিল। পুলিশ সুপার ঘুমিয়ে আছেন? তাঁরা শেষ দেখে ছাড়বেন। তিনি বলেন, পূর্ব বর্ধমানের মন্ত্রীরা এর সঙ্গে জড়িত। ২০২১ সালেও এভাবে হয়েছিল। ব্যাংকের কর্মীরাও জড়িত। জেলার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আবেদন করে সৌমিত্র খাঁ আরও বলেন, বীরভূমের চালানে বর্ধমানে বালি তোলা হচ্ছে। এটার সাথে পুরোপুরি ভাবে পুলিশ সুপাররা জড়িত। রাজ্য সরকারের মন্ত্রীরা জড়িত। বীরভূমের দুর্নীতিতে বর্ধমানের মন্ত্রীরা-সহ কালীঘাটের নেতারাও জড়িত। কৃষকদের কাছে আবেদন আপনারা সচেতন থাকুন। পঞ্চায়েত থেকে সমবায় -সব জায়গাতেই চোরেরা বসে আছেন।