Breaking News

টাকা ডবল করে দেওয়ার নামে প্রতারণায় ধৃত ২ জনকে হেফাজতে নিল পুলিস

The police took 2 people into custody on the charge of cheating by promising to double the money

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- টাকা ডবল করে দেওয়ার নামে প্রতারণায় ধৃত গোপাল সিং ও সীতারাম পোড়েলকে হেফাজতে নিল পুলিস। বর্ধমান থানার লোকো মোড় এলাকায় গোপালের বাড়ি। মাধবডিহি ধামনাড়ি গ্রামে অপরজনের বাড়ি। ধৃত দু’জনকে রবিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতদের ১০ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। দু’জনকে পাঁচদিন পুলিসি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।
পুলিস জানিয়েছে, কয়েকদিন ধরে বর্ধমান শহরের অনিতা সিনেমা লেন এলাকার একটি লজে ঘর ভাড়া নিয়ে টাকা ডবল করে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা চালাচ্ছিল গোপাল ও সীতারাম। বেশ কয়েকজন তাদের খপ্পড়ে পড়ে টাকা খুইয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরে শনিবার দুপুরে লজের ঘরে হানা দেয় পুলিস। লজ থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে তিনটি বোতলে থাকা বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক ও নানা নোটের মাপে কাটা কাগজের বান্ডিল উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিসের দাবি। ঘটনার বিষয়ে লজের মালিক প্রমোদকুমার পোড়েল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে প্রতারণার মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে থানা। The police took 2 people into custody on the charge of cheating by promising to double the money ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জেনেছে, কয়েকদিন ধরেই তারা লজে বসে লোক ঠকানোর কারবার চালাচ্ছিল। টাকা ডবল করে দেওয়ার টোপ দিয়ে তারা লোক ডেকে আনছিল হোটেলে। টাকা নেওয়ার কিছুক্ষণ পর তারা দ্বিগুণ পরিমাণ টাকা তুলে দিচ্ছিল। টাকা লজে না খোলার জন্য পরামর্শ দেয় প্রতারকরা। বাইরে নিয়ে গিয়ে টোপ গেলা লোকজন দেখতে পান, বান্ডিলে উপরে ও নীচে আসল টাকা রয়েছে। মাঝখানে নোটের মাপে কেটে রাখা কাগজ দিয়ে জালনোট ভরে দেওয়া হয়েছে। পুলিস জেনেছে, রাসায়নিক ব্যবহার করে তারা জালনোট তৈরি করছিল। তারপর সেই টাকা আসল নোটের সঙ্গে মিশিয়ে মানুষকে দ্বিগুণ টাকা দেওয়ার নাম করে ঠকাচ্ছিল। পুলিস আরও জেনেছে, গোপাল দীর্ঘদিন ধরে জালনোটের কারবারে জড়িত। ২০২২ সালে ১৯ মে বর্ধমান শহরের খাগড়াগড়ের মাঠপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। সেখানে ঘর ভাড়া নিয়ে জালনোটের কারখানা খুলেছিল গোপাল ও তার দুই সঙ্গী। ঘর থেকে বেশ কিছু নকল নোট, নোট ছাপার মেশিন ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার হয়। সেই মামলায় জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর ফের কারবার শুরু করে গোপাল ও তার দলবল। গোপাল নিজেকে একটি মানবাধিকার সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে সেই সময় দাবি করে। থানার এক অফিসার বলেন, ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে তাদের কাজ–কারবারের বিষয়ে বিশদে জানার চেষ্টা করা হবে। এর আগে তারা কোথায় কোথায় এভাবে লোক ঠকিয়েছে তা জানার চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি চক্রে আরও কেউ জড়িত কি না তাও জানার চেষ্টা করা হবে।

About admin

Check Also

The fifth short film festival was organized in Burdwan

বর্ধমানে আয়োজিত হলো পঞ্চম শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রবিবার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *