Breaking News

বর্ধমানে খুন হওয়া আদিবাসী ছাত্রীর বাড়িতে গেলেন তৃণমূলের আদিবাসী সেলের প্রতিনিধিরা, কথা মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার সঙ্গে

Trinamool tribal cell representatives went to the house of the tribal girl who was murdered in Burdwan

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমানের নান্দুরে ছাত্রীকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনার ৫ দিন পার আজও অধরা আততায়ী। ক্ষোভ বাড়ছে আদিবাসী সমাজে। দ্রুত আততায়ীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ফাঁসির দাবিতে সরব মৃত ছাত্রীর মা কাজল হাঁসদা। এদিকে গতকালই ছাত্রী খুনে অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদিবাসী সমাজ ১৯ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করতেই সোমবার সক্রিয় হল তৃণমূলের আদিবাসী সেল। কার্যত আদিবাসী সমাজের ক্ষোভকে প্রশমন করতেই সোমবার তৃণমূলের আদিবাসী সেলের রাজ্য চেয়ারম্যান দেবু টুডুর নেতৃত্বে আদিবাসী নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল মৃত ছাত্রীর পরিবারের সাথে দেখা করলেন। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাথে যে বা যারাই জড়িত হন না কেন কাউকেই রেওয়াত করা হবে না বলে আশ্বস্ত করেন তাঁরা। এদিনই দেবু টুডু সরাসরি রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা-র সাথে ফোনে কথা বলিয়ে দেন নিহত ছাত্রীর মা কাজল হাঁসদার সঙ্গে। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার কাছে অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি করেন কাজল হাঁসদা। মন্ত্রী ছাত্রীর মাকে কঠোর শাস্তি হবে বলেই আশ্বস্ত করেন। এদিকে আন্দোলনের নামে জুয়েল মুর্মু অশান্তি সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করে দেবু টুডু বলেন, “জুয়েল মুর্মু অমানবিক ও অমানুষ, এথিক্স জানে না। দেবু টুডু বলেন, একটা সামাজিক সংগঠন আন্দোলন করছে সেখানে আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের যাওয়া উচিত নয়। উনি অমানবিক, অমানুষ, জানে না এথিক্স। একটা সামাজিক সংগঠন আন্দোলন করছেন, তারা তাদের মতো করছেন। উনি জানেন না কি ব্যাপার, সেইজন্য ওনাকে তাড়িয়েছে। আমাদের আদিবাসী সমাজের লোকজন ওখান থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। উনি চলে গেছেন ওখান থেকে। Trinamool tribal cell representatives went to the house of the tribal girl who was murdered in Burdwan উল্লেখ্য, রবিবার বর্ধমানের ১৯নং জাতীয় সড়ক অবরোধে সামিল হয়েছিলেন বিজেপির এসটি মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা হবিবপুরের বিধায়ক জুয়েল মূর্মূ। অভিযোগ, ওই অবরোধে তিনি রাজনৈতিক বক্তব্য রাখেন। এরপরই আন্দোলনকারীরা তাঁকে চলে যেতে বলেন। দেবু টুডু বলেন, একজন বিজেপি নেতাকে আমাদের সমাজের লোক তাড়িয়ে দিলো। এটা ওনার পক্ষে কি ভাল হলো? তিনি বলেন, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার নেতৃত্বে ১৪ তারিখ থেকেই আমরা পরিবারটির পাশে রয়েছি। ভীষণ বেদনার ও যন্ত্রণার ঘটনা। পুলিশ চেষ্টা করছে খুব তাড়াতাড়ি আসামিকে গ্রেফতার করার, পুলিশের উপর আমাদের আস্থা রয়েছে। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেসের আদিবাসী শাখার গোটা রাজ্যের নেতৃত্বরা এদিন এসেছেন পরিবারকে সমবেদনা জানাতে। তৃণমূল কংগ্রেস এই পরিবারের পাশে আছে। দোষী যাতে খুব দ্রুত ধরা পরে আমরা তার ব্যবস্থা করছি। পুলিশ দায়িত্ব নিয়েছে, আমাদের আস্থা আছে। আমরা বিচার চাই। উল্লেখ্য, এদিন এই আদিবাসী প্রতিনিধিদল নিহত ছাত্রীর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে সরাসরি দেখা করেন জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপের সঙ্গে। দেবু টুডু জানিয়েছেন, তাঁরা পুলিশ সুপারকে জানিয়েছেন, দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীকে গ্রেপ্তার করতে হবে।
অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে মৃত ছাত্রীর মা কাজল হাঁসদা জানিয়েছেন, যারা এসেছিলেন তাঁরা এবং বীরবাহা হাঁসদা অপরাধীকে ধরা হবে বলছেন। পুলিশও একই কথা বলছে। যে খুন করেছে আমি নিজের চোখে তার ফাঁসি দেখতে চাই। কিন্তু, অপরাধী এখনও ধরা পরেনি এটা আমার আফসোস। কেন ধরা পরেনি? ঠিকমতো তদন্ত করলে এখনও ধরা পরত না? প্রশ্ন করেন কাজল হাঁসদা।

About admin

Check Also

The fifth short film festival was organized in Burdwan

বর্ধমানে আয়োজিত হলো পঞ্চম শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রবিবার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *