বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিভিন্নভাবে বর্ধমানে আন্দোলনে শামিল হলেন ছাত্র-যুব-মহিলা-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল । শনিবার এসইউসিআই (কমিউনিস্ট) দলের পক্ষ থেকে সারা বাংলা প্রতিবাদ দিবসের অঙ্গ হিসেবে বর্ধমান শহর লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে বর্ধমান শহরের কার্জন গেটে প্রতিবাদ দিবস পালন হয়। এই ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক আখ্যা দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনাকে চাপা দিতে চাইছে বলে অভিযোগ তুলে নিন্দা করা হয়। অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন উৎপল দত্ত, প্রদীপ সরকার প্রমুখ। এরপর শহরের বিভিন্ন জায়গায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পোস্টারিংও করা হয়।
আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে এদিন বিকেলে ধিক্কার মিছিল করে বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা কমিটি। বর্ধমানের ডিভিসি মোড় এলাকার জেলা বিজেপির কার্যালয় থেকে পুলিশ লাইন বাজার পর্যন্ত হয় এই প্রতিবাদ মিছিল। এই মিছিলে বিজেপির প্রদেশ মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্রের পাশাপাশি জেলা বিজেপির মহিলা কর্মী ও অন্যান্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এদিন বিকেলে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এসএফআই ও ডিওয়াই এফআই বর্ধমানের পার্কাস রোড মোড়ে জিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভে শামিল হয়। প্রায় মিনিট কুড়ি এই বিক্ষোভ চলে। পরে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর পাশাপাশি এদিন সন্ধ্যায় আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের শাস্তি এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতে মোমবাতি মিছিল করেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার ও মেডিকেল পড়ুয়ারা। মোমবাতি ও মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে মিছিল সহকারে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ থেকে হাসপাতাল হয়ে কার্জনগেট চত্বরে এসে সমবেত হন তাঁরা। কার্জন গেট চত্বরে নীরবতা পালন ও মোমবাতি প্রজ্বলন মধ্য দিয়ে মৃত চিকিৎসকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি দোষীদের শাস্তির দাবিতেও সরব হন মিছিলে অংশগ্রহণকারী চিকিৎসকরা। শুক্রবার রাতেও বর্ধমান মেডিকেল কলেজ চত্বরে মোমবাতি মিছিল করেন চিকিৎসক ও পড়ুয়ারা। উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার মৌসুমি বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এছাড়াও এদিন সকাল থেকে বর্ধমান হাসপাতাল-সহ অন্যান্য হাসপাতালে আউটডোরের কাজ বন্ধ রেখে অবস্থান বিক্ষোভ করেন জুনিয়র ডাক্তার ও পড়ুয়ারা।