বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- শাহজাহানকে পুলিশের তত্ত্বাবধান বহাল তবিয়তে রাখা হয়েছে বলে বুধবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যে শুভেন্দুকেই শাহজাহানকে ধরে দিতে বললেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শাহজাহান সম্পর্কে তাঁর জানা নেই। শুভেন্দু তাহলে জানেন। সে ধরে দিক। তাঁর হাতে তো কেন্দ্রের পুলিশ আছে। বুধবার বর্ধমান টাউনহলে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেলের উদ্যোগে কর্মীসভায় যোগ দিতে আসেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি, রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ-সহ তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বরা। শাহজাহান সম্পর্কে শুভেন্দুর এক্স হ্যাণ্ডেলে মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করায় সিদ্দিকুল্লাহ বলেন, তিনি কিছু জানেন না। শুভেন্দু জানলে সেই ধরে দিক। কেন্দ্রের পুলিশ তে তার হাতেই রয়েছে। শাহজাহানকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে সিদ্দিকুল্লাহ বলেন, আমি কি শাহজাহানকে ধরার জায়গায় রয়েছি। এটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করুন। তবে আমি যেটা বিশ্বাস রাখি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা বলেছেন অনেকেই পাকড়াও হয়েছেন। তিনি আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং মুখ্যমন্ত্রী এখনও কিছু বলেন নি। তবে দলের সাধারণ সম্পাদকের বলাটা দলের বলা। আজ তো দুদিন হয়েছে, এখনও ৫ দিন বাকি আছে। সন্দেশখালি উত্তপ্ত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মিডিয়ারা উত্তপ্ত করছে সন্দেশখালি আমি খবর পাচ্ছি। বাইরের লোক গিয়ে তারা বলছেন তুই বল তুই বল,আর এলাকার লোক বলছে তোমাকে তো চিনি না, তোমার বাড়ি কোথায়? বেড়মজুর? সন্দেশখালি? বলে না আমার বাড়ি নয়। ওই মিডিয়ারা নাকি এখন কিছু খরচ করছে, এটা গদি মিডিয়ার কথা বলছি। বাংলার মিডিয়ার কথা আমি বলবো না। উত্তপ্ত জায়গাটাকে অবসান ঘটাতে গেলে যৌথ প্রচেষ্টা দরকার, দল সেটা করছে, প্রশাসন করছে। সিএএ চালু প্রসঙ্গে তিনি এদিন বলেন, বাংলায় কিছু হবে না। ঘোষণা করলে কী হবে। এখানে কারো গায়ে হাত দিয়ে দেখাক না। তোমাকে যদি এখন বলে বাংলাদেশি। তুমি কী করবে? যা আছে হাতে, যে বলবে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেবে। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, গত ২০২১ সালে নির্বাচনে আপনারা উজাড় করে ভোট দিয়েছিলেন। আপনারা ভোট দেবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পারবেন আমাদের সবাইকে রক্ষা করতে। তাঁর কাছে কে হিন্দু, মুসলিম বড় কথা নয়। সব ধর্মের মানুষ তাঁর ধর্ম পালন করুক। ধর্মের প্রতি আস্থা রাখুক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাদের বুকে আগলে রেখেছেন। বাঁদরের দল বিজেপি যা শুরু করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন তাঁর শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এনআরসি চালু করতে দেবেন না। জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি দেবু টুডু এদিন বলেন, ওই সন্দেশখালিতে যা হচ্ছে সারাদিন দেখান হচ্ছে। সরকার কিন্তু জমি ফিরিয়ে দেওয়া-সহ সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাও ছাড় পাচ্ছে না, জেলের মধ্যে ঠাঁই হচ্ছে। কোনও দলের এই ক্ষমতা আছে। পুলিশ সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। তারপরও চক্রান্ত হচ্ছে। মুখোশ পরে ভাড়া করা লোক নিয়ে গিয়ে সন্দেশখালিতে প্রচার করছে। এদিকে ১০০ দিনের কাজের টাকা মেরে দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই টাকা দিচ্ছেন। বিজেপি মানুষে মানুষে বিভেদ করতে চাইছে। সবাই ভারতের মানুষ তাহলে কেন নতুন করে প্রমাণ করতে হবে? আজকে ঘোষণা করছি আমরা প্রমাণ দেবো না। যা করার করে ফেল। যারা প্রমাণ চাইছেন তাঁদের বিদেশে পাঠিয়ে দেবো। যে বাঙালিরা আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্তের দালালি করছে আগামী লোকসভা নির্বাচনে তাঁদের খবর হবে। আর যারা বেশি দালালি করছেন ভোটের পর তাঁর কোমড়ে দড়ি পড়াবে নতুন সরকার।
Check Also
বর্ধমানে আয়োজিত হলো পঞ্চম শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রবিবার …