বর্ধমান, ১৮ জানুয়ারিঃ-হাওড়া, হুগলী এবং বর্ধমান জেলায় বন্যার প্রকোপ কমাতে খুব শীঘ্রই ২০০০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে দামোদর নদী সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে জানালেন রাজ্যের সেচ দপ্তরের মন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জী। পাশাপাশি বর্ধমানের নিকাশি ব্যবস্থা, সেচ ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং বন্যার প্রকোপ কমাতে বাঁকা নদীও সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে মন্ত্রী জানান। এদিন তিনি বিষয়গুলি নিয়ে সেচ দপ্তরের আধিকারিক এবং বর্ধমানের জেলা শাসক ওঙ্কার সিং মীনা সাথে বিষয়গুলি নিয়ে বৈঠকও করেন বর্ধমানের সেচ দপ্তরের বাংলোয়। মন্ত্রি জানান, স্বাধীনতার পর একবারও দামোদর এবং বাঁকা নদী সংস্কার হয়নি। আমরা সেই কাজ শুরু করছি। গঙ্গা, দামোদর, বাঁকা তিনটি নদীরই ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরীর কাজ শুরু হচ্ছে। আজ হাওড়ার উদয়নপুরে দামোদরের কাজ শুরু হল। তিন জেলায় প্রায় ৫০ কিমি দামোদর নদী ২০০০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে সংস্কার করা হবে এবং গলসির লোয়া কৃষ্ণরামপুর থেকে নাদনঘাটে ভাগরথি পর্যন্ত ১২৪ কিমি বাঁকা নদী ২০০ কোটি টাকা খরচ করে সংস্কার করা হবে। পাশাপাশি নদী ভাঙন প্রবল এলাকা গুলিতে শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। পূর্বস্থলীতে নার্বাডের সহযোগিতায় কাজ হবে। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের ৪ কোটি টাকা দিয়ে দুর্গাপুর ব্রাঞ্চ ক্যানালের কাজ হবে। আমরা এতদিন দেখে এসেছি সেচ দপ্তরের কাজ শেষ হয়না। আমরা শেষ করব এবং নির্ধারিত সময়েই শেষ করব।
চাষের জল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, চাষিদের নানা সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে নতুন সরকার। যেগুলি দিতে ব্যর্থ ছিল বাম সরকার। চাষিদের পাম্পসেট কিনতে সরকার ৮ হাজার টাকা করে ভর্তুকী দেওয়া শুরু করেছে। সেচের জলের কোনও সমস্যা নেই। পর্যাপ্ত পরিমাণ জল মজুত আছে। চাষের জলের সঙ্কট মুহূর্ত মোকাবিলা করার জন্য ১ লক্ষ একর ফুট জল মজুত রাখা আছে। জল মজুত রাখার জন্য আসানসোলের পরিত্যক্ত কয়লা খনিগুলির কথাও ভাবা হচ্ছে। ইসিএলের সাথে কথা চলছে। ১ তারিখ বৈঠক আছে। বৈঠক সফল হলে আরও ৫-৬ লক্ষ একর ফুট অতিরিক্ত জল পাওয়া যাবে।
পাশাপাশি মন্ত্রী আগের সরকারের জল করের সমালোচনা করে বলেন, জাতীয় জল নীতির মিটিং-এ আমরা জলকে পণ্য হিসাবে দেখার বিরোধীতা করেছি। আমরা জল করের পক্ষপাতী নয়। জোর করে কারো কাছ থেকে জলের জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে না। আলোচনা চলছে আগের সরকারের চালু করা জল কর তুলে দেওয়ার।