বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- পরকীয়ায় বাধা পেয়ে প্রেমিকার স্বামীকে শ্বাসরোধ করে খুনের দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে পূর্ব বর্ধমান আদালত। এছাড়াও ২৫ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা, অনাদায়ে ছ’মাস সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের প্রথম ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক দেবাঞ্জন ঘোষ শুক্রবার এই সাজা ঘোষণা করেছেন। ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে অকাট্য প্রমাণ না মেলায় মৃতের স্ত্রীকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছেন বিচারক। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন সাজাপ্রাপ্তের আইনজীবী। সাজাপ্রাপ্তের নাম …(আইনি কারণে নাম প্রকাশ করা হলনা)। হুগলির গোঘাট থানা এলাকায় তার বাড়ি।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর সকালে পূর্ব বর্ধমান জেলার মাধবডিহি থানার নন্দনপুর ঢালে নয়নজুলির পাশ থেকে এক ব্যক্তির বস্তাবন্দি পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃতের ডান হাতের কব্জির উপরে উল্কিতে স্ত্রীর নাম লেখা ছিল। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, দেহটি গোঘাট থানা এলাকার বছর ৩৬-এর এক যুবকের (আইনি কারণে নাম প্রকাশ করা হলনা)। তদন্তে আরও জানা যায়, মাধবডিহি থানা এলাকার এক যুবতীর সঙ্গে ১৬ বছর আগে ওই যুবকের বিয়ে হয়। তিনি পেশায় দিনমজুর ছিলেন। তাঁর দু’টি মেয়ে রয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত এই বালিখাদের ম্যানেজার সঙ্গে ওই যুবকের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। ওই যুবকের বাড়িতে তার যাতায়াতের সুবাদে সাজাপ্রাপ্তের সঙ্গে ওই যুবকের স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে হামেশাই অশান্তি হতো। দুর্গাপুজোর দশমীর দিন মদ খাওয়ার সময় স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ওই যুবকের সঙ্গে সাজাপ্রাপ্তের তীব্র বচসা বাধে। সাজাপ্রাপ্ত তাঁকে মারধর করে তারপর গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করে। প্রমাণ লোপাটের জন্য মৃতদেহটি বস্তাবন্দি করে সাইকেলে চাপিয়ে নন্দনপুর ঢালে নয়নজুলির পাশে ফেলে রেখে যায় সাজাপ্রাপ্ত। গামছা এবং তার সাইকেলটি উদ্ধার করে পুলিস। মৃতের স্ত্রী এবং সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে জেলেই ছিল।
Check Also
সোমবার থেকে বাংলা আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকবে পূর্ব বর্ধমান জেলায়
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- রাত পোহালেই সোমবার থেকে টাকা ঢুকবে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে। জেলা প্রশাসন …