বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- ভাতার থানার ওড়গ্রামে তিনটি কালীমন্দিরের চুরির মালপত্র কেনার অভিযোগে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের নাম মির মহম্মদ সদরউদ্দিন ওরফে বাপি। ভাতার থানার বামশোর গ্রামে তার বাড়ি। সোমবার রাতে ঘটনায় পুলিসি হেফাজতে থাকা নন্দন নাথকে নিয়ে তার বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। তার বাড়ি থেকে কিছু চুরির মালপত্র উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিসের দাবি। ধৃতকে মঙ্গলবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ২৬ ডিসেম্বর ধৃতকে ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন সিজেএম।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১২ নভেম্বর রাতে ওড়গ্রামে নতুনপাড়ায় বড় কালীমন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। মন্দির থেকে দেবীর ৫ ভরি সোনার গয়না ও ৬০-৭০ ভরি রুপোর গয়না চুরি হয়ে যায়। এছাড়াও গ্রামের রায়পাড়ায় ক্ষেপিমা ও ছোট কালীমা মন্দিরেও চুরির ঘটনা ঘটে। দেবীর বেশকিছু সোনা ও রুপোর গয়না নিয়ে পালায় চোরে। পরেরদিন সকালে চন্দন কুমার সাধু ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিস ঘটনায় নন্দনের জড়িত থাকার কথা জানতে পারে। গত শুক্রবার রাতে বলগনা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে রুপোর মুণ্ডমালা, ৫৩ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার হয় বলে পুলিশের দাবি। শনিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয় ধৃতকে। তাকে ৫ দিন পুলিসি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম। হেফাজতে থাকাকালীন জিজ্ঞাসাবাদে চুরির গয়না বামশোরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সদরউদ্দিনকে বিক্রির কথা জানায় নন্দন।