বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান শহরের ৩০ নম্বর ওয়াের্ডর খোসবাগান এলাকায় ফৌজদারি কালীমন্দির লাগোয়া পুকুরের সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে পুরসভা। মালিকের অনুমতি ছাড়াই পুকুরের সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু করার জন্য পুরসভাকে তীব্র ভর্ৎসনা করে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। রায় ঘোষণার ১৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ বাবদ ওই টাকা পুকুরের মালিককে মিটিয়ে দেওয়ার জন্য পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সৌন্দর্যায়নের কাজ অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য পুরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্ধমান থানার পুলিশের ভূমিকারও তীব্র সমালোচনা করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। হাইকোর্টে দ্বারস্থ হওয়ার আগে পুকুরের মালিক শুভজিৎ দাস প্রশাসনের নানা মহলে অভিযোগ জানান। থানাকেও বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু, থানা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি থানা হাইকোর্টে যে রিপোর্ট পেশ করেছে তাতে মোটেই সন্তুষ্ট নন বিচারক। পুরসভা এবং পুলিশ মিলে পরিকল্পনা করে মালিককে তাঁর অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করেছে বলে পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন বিচারপতি। বর্ধমান থানার আইসির কাজকর্ম কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য জেলার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আইসি তাঁর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন বলে বিচারপতি তাঁর রায়ে জানিয়েছেন। প্রয়োজনে আইসির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করেছেন বিচারপতি পার্থ সারথি সেন। পুকুর মালিকের আইনজীবী উত্তীয় রায় বলেন, কোনও রকম অনুমতি ছাড়াই জোর করে পুকুরটি সংস্কার করা হচ্ছিল। মালিক বারবার এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রশাসনের নানা মহলে নালিশ জানিয়েছেন তিনি। পুরসভা বা পুলিশ কেউই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়নি। প্রশাসনের অন্য কর্তারাও কোনও ব্যবস্থা নেননি। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে পুকুরটির সংস্কার করছিল পুরসভা। সব ধরনের কাজ বন্ধ রাখার জন্য হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার বলেন, হাইকোর্টে নির্দেশে ফৌজদারি কালীমন্দির লাগোয়া পুকুরটির সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে। মালিকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। অনুমতি ছাড়াই কাজ করা হচ্ছিল। সে কারণে হাইকোর্ট এ ধরনের নির্দেশ দিয়েছে। আশা করি, মালিকের সঙ্গে আলোচনায় জট কাটিয়ে ফের কাজ শুরু করা যাবে। হাইকোর্ট ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে পুরসভাকে।
পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফৌজদারি কালীমন্দির লাগোয়া পুকুরটির সৌন্দর্যায়ন ও সংস্কারের কাজ মার্চ মাসে শুরু হয়েছিল। পুকুরের জল সেচে মেশিন নামিয়ে সংস্কারের কাজ চলছিল। পুকুরের তিনদিকের পাড় কংক্রিট দিয়ে বাঁধানোর কাজ অনেকটাই হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, পুকুরটি সংস্কারের জন্য মালিকের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নেওয়া হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন, পুকুরটি সংস্কারের জন্য পাড়ের কয়েকটি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। পুকুরের মালিক সংস্কার নিয়ে আপত্তি জানান। জেলাশাসক সহ প্রশাসনের নানা মহলে তিনি আপত্তি জানান। কিন্তু, তাতে কোনও কাজ হয়নি।
Tags Burdwan Kali Mandir Calcutta High Court Faujdari Kali Faujdari Kali Bari Faujdari Kali Mandir Fouzdari Kali Mandir Fouzdari Kalitala Kali Mandir
Check Also
১৮ বছরের তরুণীর পেট থেকে বের হল হাজারেরও বেশি বেলুনের ন্যায় তরলপূর্ণ সিস্ট
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- এক তরুণীর পেট থেকে বের হল হাজারেরও বেশী বেলুনের ন্যায় তরলপূর্ণ …