Breaking News

জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জেরে ধাক্কা লাগতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের মিষ্টি হাবে

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমানের শক্তিগড়ের ল্যাংচা বাজার এবং মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের মিষ্টি হাবকে বাঁচাতে এই দুই এলাকায় উড়ালপুল করার ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিল জেলা প্রশাসন। আগামী ২০২০ সাল থেকে শুরু হচ্ছে বর্ধমানের পানাগড় থেকে ডানকুনি ২নং জাতীয় সড়কের ৬ লেন তৈরীর কাজ। ইতিমধ্যেই এই রাস্তা সম্প্রসারণের জেরে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে বিখ্যাত ল্যাংচা বাজার ধ্বংসের আতংকে ভুগতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। এর সঙ্গে যুক্ত হবার আশংকা তৈরী হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের মিষ্টি হাবের জায়গাও। ইতিমধ্যেই শক্তিগড়ের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রশাসনিক আলোচনা হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক আলোচনা হল মিষ্টি হাবের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। মিষ্টি হাবের ব্যবসায়ী সৌমেন দাস জানিয়েছে্ন, এদিনের বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়েও তাঁরা আলোচনা করেছেন প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে। প্রশাসনিক কর্তারা জানিয়েছেন, মিষ্টি হাবের সামনে দিয়েই তৈরী হবে উড়ালপুল। ফলে সেক্ষেত্রে মিষ্টি হাবের ওপর কোনো প্রভাবই পড়বে না। যদিও সৌমেনবাবুরা জানিয়েছেন, মিষ্টি হাবের সামনে দিয়ে উড়ালপুল গেলে তার একটা প্রভাব পড়বেই মিষ্টি হাবের ওপর। উল্লেখ‌্য, ইতিমধ্যেই শক্তিগড়ের ল্যাংচা ব্যবসায়ীদের সরে যাবার জন্য নির্দেশ জারী হয়েছে। কিন্তু এরই পাশাপাশি শক্তিগড়ের ল্যাংচা ব্যবসায়ীদের রক্ষার্থে সেখানেও উড়ালপুল করা যায় কিনা তা নিয়েও ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক স্তরে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল বর্ধমানে দু’নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের মিষ্টি হাবের উদ্বোধন হয় মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই। প্রকল্পের প্রথম ধাপে একতলায় ১৫টি স্টল তৈরী হয়। উদ্বোধনের পর কিছুদিন চলার পর খদ্দেরের অভাবে মিষ্টি হাবের সমস্ত দোকানই বন্ধ হয়ে যায়। ইতিমধ্যে মিষ্টি হাবের প্রায় ৫২ হাজার টাকা বিদ্যুতের বিল বাকি। খদ্দের নেই, বন্ধ দোকান – তার ওপর বিদ্যুতের এই বিল প্রদান নিয়েও শুরু হয় টানাপোড়েন। যদিও বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ ) প্রবীর চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বর্তমানে মিষ্টি হাবের সামনের পার্কিং-এর জন্য যে জায়গা সেটির বেশ কিছুটা অংশ রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য চলে যেতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, বেশ কিছু সমস্যার জন্য মিষ্টি হাবকে চালু করা যায়নি। তাঁরা নতুন করে মিষ্টি হাব চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা বিদ্যুতের বিল নিজেরাই মিটিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন। অপরদিকে, এই মিষ্টি হাব তৈরীর ক্ষেত্রে মূল উদ্যোক্তা পূর্ব বর্ধমানের জেলা পরিষদ সভাধিপতি দেবু টুডু জানিয়েছেন, রাস্তা সম্প্রসারণের জেরে কোনো প্রভাবই পড়বে না মিষ্টি হাবে। তিনি জানিয়েছেন, মিষ্টি হাব তৈরীর সময়ই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখেই মিষ্টি হাব তৈরী করা হয়েছে। ফলে আতংকিত হবার কোনো কারণ নেই।

About admin

Check Also

The fifth short film festival was organized in Burdwan

বর্ধমানে আয়োজিত হলো পঞ্চম শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রবিবার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *