বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার কালনা গ্রামের দুই পাড়ায় প্রায় শতাধিক গ্রামবাসীদের অজান্তে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট করা, এটিএম কার্ড পাঠানোর সঙ্গে সর্বোপরি গ্রামবাসীদের অজান্তে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেনের ঘটনায় দুই ব্যাংক কর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এব্যাপারে সংবাদ প্রকাশের পরই শুরু হয়েছে তোলপাড়। গ্রামবাসীদের পক্ষে পূর্ব বর্ধমান আদালতের বিশিষ্ট আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গ্রামবাসীদের অজান্তে যেভাবে শয়ে শয়ে অ্যাকাউন্ট করা হয়েছে তা রীতিমতো তদন্তের বিষয়। বিশ্বজিতবাবু জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মে মাস নাগাদ যখন গ্রামবাসীরা জানতে পারেন এই অ্যাকাউন্টগুলির কথা এবং একইসঙ্গে তাঁদের অজান্তে যেভাবে ওই অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন করা হয়েছে তাতে এর পিছনে বড়সড় দুর্নীতির বিষয় রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এব্যাপারে ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, দুজন কর্মীকে শোকজ করা হয়। কিন্তু তাঁরা যুতসই কোনো জবাব দিতে না পারায় তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে এবং একইসঙ্গে তাঁদের বর্ধমানের সিটি টাওয়ার এলাকার ব্রাঞ্চ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্বজিতবাবু জানিয়েছেন, গ্রামবাসীদের সুরাহা দিতে আইনি লড়াই চলবে। এদিকে, খণ্ডঘোষের কালনা গ্রামের এই ঘটনায় শুক্রবার ওই ব্যাংকের বর্ধমানের সিটি টাওয়ার এলাকার ওই ব্রাঞ্চে বিক্ষোভ দেখায় পূর্ব বর্ধমান জেলা কংগ্রেস। জেলা কংগ্রেস নেতা গৌরব সমাদ্দারের নেতৃত্বে জেলা কংগ্রেস নেতা হিলালউদ্দিন আহমেদ, কুমকুম ঘোষ, সঞ্জয় খান প্রমুখরা বিক্ষোভ দেখান ব্যাংক ম্যানেজারকে। কীভাবে ব্যাংকের নিয়ম ভেঙে এই ধরনের অ্যাকাউন্ট করা হয়েছে, কারা কারা যুক্ত, লেনদেনের অর্থ কারা নিয়েছেন প্রভৃতি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করেন কংগ্রেস নেতারা। গৌরব সমাদ্দার জানিয়েছেন, তাঁদের কোনো প্রশ্নেরই জবাব দিতে পারেননি বর্তমান ম্যানেজার। সব প্রশ্নের উত্তরেই ব্যাংক ম্যানেজার তাঁদের জানিয়েছেন, এব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানে। এরপরই গৌরব জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টির সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জড়িত তারই ইঙ্গিত দিয়েছেন বর্তমান ম্যানেজার। তাই তাঁরা গোটা ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত চাইছেন।