গণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- অবশেষে বিদ্যুৎ চুরি নিয়ে নড়েচড়ে বসল পুলিশ। দিনকয়েক আগে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ। আর রবিবার বিকালে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে এক হোটেল মালিককে গ্রেপ্তার করে। ধৃতের নাম জয়দেব দাস। খণ্ডঘোষ থানার গোপালবেড়ায় তার বাড়ি। হোটেল থেকে পুলিশ তাকে ধরে। বিদ্যুৎ চুরির জন্য তার ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৬৮৪ টাকা জরিমানা করেছে বিদ্যুৎ দপ্তর। বর্ধমানের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিশেষ আদালতে সোমবার ধৃতকে পেশ করা হয়। জরিমানার অর্ধেক টাকা জমা দেওয়ার নথি তার আইনজীবী আদালতে দেখান। এরপরই ধৃতের জামিন মঞ্জুর করেন বিশেষ আদালতের বিচারক মাসুক হোসেন খান।
অন্যদিকে, গ্রেপ্তার এড়াতে বিদ্যুৎ চুরিতে অভিযুক্তদের জরিমানার টাকা জমা দিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন জরিমানার টাকা জমা দিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছে। গলসি থানার সুবীর ঘোষ, নিত্যানন্দ বিশ্বাস ও প্রদীপ বিশ্বাস এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে। জরিমানা বাবদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জমা দেওয়ার নথি আদালতে পেশ করে জামিন পায় তারা। মেমারি থানার মণ্ডলগ্রামে চন্দ্রশেখর কেশ ১ লক্ষ ৭০ হাজার ৩৭০ টাকা বিদ্যুৎ দপ্তরে জমা দিয়েছে। আত্মসমর্পণ করার পর আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেছে। বর্ধমান শহরের সাধনপুরের জয়প্রকাশ আগরওয়াল এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে। ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার ৮৮১ টাকা জরিমানা বাবদ জমা দেওয়ার রসিদ দেখানোর পর জামিন মেলে তার। কেতুগ্রাম থানার চরকি গ্রামের খাইরুল খান ৩৯ হাজার ৩৫০ টাকা জরিমানা বাবদ দিয়ে জামিন পেয়েছে। গলসি থানার ভুড়ি গ্রামে তারকনাথ মণ্ডল ৯০ হাজার টাকা জমা করে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পায়। একইভাবে মঙ্গলকোটের মণিরুল শেখ ৪০ হাজার ৭৩৮ টাকা, নাদনঘাটের ভজন দাস ৩৪ হাজার ৩৫৪ টাকা, কালনার ছোট মিরেপাড়ার নির্মল রায় ৬৭ হাজার ৩৩২ টাকা, শক্তিগড়ের বামুনপাড়ার স্বপন মাঝি ৩৩ হাজার ৯০৮ টাকা, মন্তেশ্বর থানার দেনুর গ্রামের ধীরেন সিং ৯৯ হাজার ৮৩৩ টাকা, কাটোয়ার গিধগ্রামের মধুসূদন মণ্ডল ৪০ হাজার ৬১৮ টাকা এবং খণ্ডঘোষ থানার শুনিয়া গ্রামের রামমোহন ঘোষ ৩ লক্ষ ৯০ হাজার ৪৭৫ টাকা জরিমানা বাবদ দিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছে। বিদ্যুৎ সংক্রান্ত আদালতের ভারপ্রাপ্ত সরকারি আইনজীবী জ্যোতিপতি কোনার বলেন, দিনকয়েক আগে প্রশাসনিক বৈঠকে বিদ্যুৎ চুরি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে কড়া মনোভাব নিয়েছে সরকার। এরপরই জরিমানার টাকা জমা দেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।
Tags AB cables Attempt to stop electricity theft Bardhaman Burdwan East Bardhaman East Burdwan Electricity Electricity robbed Purba Bardhaman Revenue Generation robbed Transformers WBSEDCL West Bengal State Electricity Distribution Company Limited Wire খবর পূর্ব বর্ধমান বর্ধমান বাংলা বাংলা খবর বিদ্যুত চুরি সংবাদ
Check Also
বর্ধমানে আয়োজিত হলো পঞ্চম শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
বর্ধমান (পূর্ব বর্ধমান) :- বর্ধমান চলচ্চিত্র চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত হলো শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রবিবার …